শহীদ মিনার পেয়ে উৎফুল্ল ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:২৮ | প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:৩৬

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ছোট যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নদী ও বিল বেষ্টিত কয়েকটি গ্রামের শত শত শিক্ষার্থীর প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের একমাত্র বিদ্যাপীঠটি ১৭৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। সম্প্রতি বিদ্যালয়টির নানা সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ হয় বিদ্যালয়টিতে। শহীদ মিনার পেয়ে উৎফুল্ল বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, তৎকালীন সময়ে আটগ্রামের জমিদার এই অঞ্চলের মানুষদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া স্পর্শ করেনি বিদ্যালয়টিতে। সম্প্রতি বিদ্যালয়টির নানা সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ হয়। বছরের পর বছর এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার তৈরি করে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দিবস উদযাপন করে আসত। অবশেষে একটি শহীদ মিনার পেয়ে উৎফুল্ল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা।

সম্প্রতি নবনির্মিত এই শহীদ মিনার উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম, কালিকাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মন্ডল, আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি মতিউর রহমান কবিরাজ, প্রধান শিক্ষক মুকুল উদ্দিন, স্থানীয় গণ্যমান্যরা।

এদিকে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যালয়টি ছোট যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে। স্থানীয়ভাবে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু স্থায়ীভাবে বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য বড় ধরনের অর্থ বরাদ্দসহ সরকারি পরিকল্পনা প্রয়োজন। যদি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তাহলে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাবে ঐতিহাসিক বিদ্যালয়টি। এছাড়াও বিদ্যালয়টির সুরক্ষা প্রাচীর নষ্টের পথে। আধুনিক মানসম্মত একটি ভবনের প্রয়োজন। কক্ষের অভাবে একই কক্ষে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণ করে। এছাড়াও কয়েকটি গ্রামের জন্য একটি মাত্র খেলার মাঠও অনেকটাই ব্যবহার অনুপযোগী। এক কথায় বর্তমান সরকারের ডিজিটাল যুগের কোনো ছোঁয়াই এই বিদ্যালয়ে লাগেনি। এখানে নেই শিক্ষার্থীদের খেলার কোনো উপকরণ, নেই ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব। তাই অবহেলিত এই অঞ্চলের শিশু শিক্ষার্থীদের আনন্দমুখর ও ছিমছাম পরিবেশে পাঠগ্রহণের জন্য ডিজিটাল আধুনিক শিক্ষার সকল সুযোগ-সুবিধা বিশিষ্ট একটি মানসম্মত বিদ্যালয় উপহার দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

(ঢাকাটাইমস/১সেপ্টেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :