কিশোরীর বয়স ২৬ দেখিয়ে সৌদি প্রেরণ, এজেন্সি মালিক গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:৩২ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মেয়েটির শিক্ষাসনদে বয়স ১৪ বছর। তাকে ২৬ বছর বয়স দেখিয়ে পাসপোর্ট করে গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরব পাঠানো হয়। সেখানে নির্মম নির‌্যাতনের শিকার হয়ে মারা যায় উম্মে কুলসুম নামের কিশোরীটি। তাকে সৌদি পাঠায় যে রিক্রুটিং এজেন্সি, তার মালিক মকবুল হোসাইন ও সহযোগী তারেককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফকিরাপুলে এইচ এম ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের রিক্রুটিং এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর উম্মে কুলসুমের মরদেহ সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আসে। তিনি ২০১৯ সালের এপ্রিলে এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে সৌদি আরব যান। সৌদি আরবে কাজের জন্য যাওয়া ন্যূনতম বয়স ২৫ হলেও কুলসুমের বয়স ছিল ১৫ বছরের নিচে। কিন্তু স্থানীয় দালাল ও এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মকবুল হোসেনের প্ররোচনায় তার বয়স ২৬ বছর দেখিয়ে কুলসুমের পাসপোর্ট তৈরি করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, সৌদি আরবে কুলসুম নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার পরিবার স্থানীয় দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখায়নি। গত ১৭ আগস্ট মারা যায় কুলসুম।

ফকিরাপুলের অফিসে অভিযান চলার সময় ১০-১২ জন ভুক্তভোগীর অভিযোগ পান জানিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বলেন, এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিকের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা রয়েছে। মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার নূরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে উম্মে কুলসুম সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে তার ওপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতন শুরু হয়। গৃহকর্তা ও তার ছেলে কুলসুমের দুই হাঁটু, কোমর ও পা ভেঙে দেয়। একটি চোখ নষ্ট করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায় তারা।

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/মোআ)