করোনাকালে হট্টগোলে বন্ধ হাটহাজারী মাদরাসা
বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ছাত্রবিক্ষোভের মধ্যেই চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, করোনাকালীন সময়ে মাদরাসা চালুর জন্য যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল তা যথাযথভাবে প্রতিপালিত না হওয়ায় এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে এককভাবে কোনো কওমি মাদরাসা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো। তবে ছাত্ররা দাবি আদায়ের লক্ষে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব সৈয়দ আসগর আলী স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৪ আগস্ট কওমি মাদরাসাসমূহের কিতাব বিভাগের কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কতিপয় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি প্রদান করা হয়।
কিন্তু আরোপিত শর্তসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালিত না হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসাটি পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্দেশক্রমে বন্ধ করা হলো।
গতকাল বুধবার দুপুর থেকে হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আনাস মাদানীকে অব্যাহতিসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ছাত্ররা।
বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেছেন। বিক্ষোভের শুরু থেকেই মাদরাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী সিনিয়র শিক্ষকরা মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন।
পরে আন্দোলনের বুধবার রাতে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আনাস মাদানীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তখন বলা হয়, শনিবার আবারও শুরা কমিটি বসে সমস্যার সমাধান করবে। এর মধ্যে কোনো ছাত্রকে হয়রানি করা হবে না।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মাদরাসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে মাদরাসার ভেতরে শিক্ষার্থীরাও তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে শুরার জরুরি বৈঠক বসার কথা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/ইএস)