ভালুকায় ভুয়া কাগজে জমি রেজিস্ট্রি চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৪৯ | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৩৮

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ময়মনসিংহের ভালুকায় চার একর জমি ভুয়া কাগজে রেজিস্ট্রি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার উপজেলার সাব রেজিস্টারকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন জমির মালিক পক্ষ।

জমির মালিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের ধামশুর গ্রামের কাজল চন্দ্র পাল ও সজল চন্দ্র পাল একই গ্রামের বাদল চন্দ্র পালের নামে একটি আম-মোক্তার দলিল রেজিস্ট্রি করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি কাজল চন্দ্র পাল এবং ২৯ নভেম্বর সজল চন্দ্র পাল পরলোকগমন করেন। এক কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ৪ একর জমির আগের দলিলের তথ্য গোপণ করে তার ছেলেদের নামে দানের ঘোষণা দলিলের মাধ্যমে লিখে দেওয়ার চেষ্টা করেন বাদল চন্দ্র পাল। আর তার এই কাজে সহযোগিতা করেন ভালুকা সাব রেজিস্ট্রি কাযার্লয়ের দলিল লেখক হারুন অর রশিদ। গত বুধবার ভিজিট কমিশন যোগে দলিলটি রেজিস্ট্রি করার চেষ্টা করেন তিনি। এই দলিলে তিনজনকে স্বাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে। অথচ তারা কেউই স্বাক্ষর দেননি।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য বাদল চন্দ্রের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সংযোগ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায় নি তাকে।

তবে এ বিষয়ে দলিল লেখক হারুন অর রশিদ জানান, দলিলটি রেজিস্ট্রির জন্য সাব রেজিস্ট্রারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

দলিলের স্বাক্ষী হিসেবে দেখানো দেবল চন্দ্র পাল জানান, তিনি কোনো দানের ঘোষণা দলিলের স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর দেন নি। গত বুধবার সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের পাশের একটি মিলে বালাম বইয়ে টিপসই নিয়ে আম-মোক্তার থেকে দানের ঘোষণা দলিল রেজিস্ট্রি করায় তাদের জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। জমিটি নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।

উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার বোরহান উদ্দিন সরকার জানান, ওই দলিল লেখক বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাগজপত্রে ঝামেলা থাকায় দলিলটি রেজিস্ট্রি করা হয় নি। বালাম বইয়ের টিপসই বাতিলের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/পিএল)