বাউফলে গুলিসহ জলদস্যু আটক

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কালামিয়া বাজার সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদী থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কালাম রাঢি (৫০) নামের এক জলদস্যুকে আটক করেছে স্থানীয়রা।

খবর পেয়ে ওই রাতেই বাউফল থানা পুলিশ ওই জলদস্যুকে আটক করে বাউফল থানায় নিয়ে আসে। এ সময় তার কাছ থেকে সাতটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাউফল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে একদল ডাকাত ইঞ্জিন চালিত ট্রলারযোগে তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের নৌকা ও ট্রলারে ডাকাতি করতে আসে। ডাকাতরা ডাকাতি করা শুরু করলে জেলেরা ইটপাটকেল মেরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। জেলেদের চিৎকারে হাজার হাজার স্থানীয় লোকজন নদীর তীরে জমায়েত হয়। এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটে যাওয়ার সময় ইটের আঘতে কালাম রাঢি নদীতে পড়ে যায়। পরে জেলেরা রাত ৯টার দিকে তাকে আটক করে। এ সময় অন্যান্য ডাকাতরা দ্রুত ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যায়।

আটক জলদস্যুকে কেশবপুর ইউনিয়নের কালামিয়ার বাজারে এনে বাউফল থানায় খবর দিলে রাত ১২টার দিকে এসআই অপু বিশ্বাস ও এসআই রুহুল আমিন একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তার কাছ থেকে সাতটি গুলি উদ্ধার করে কালামকে থানায় নিয়ে আসেন।

ধৃত কামাল জানায়, ভোলা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলাসহ আরো দুটি মামলা রয়েছে। তার নেতা ভোলা জেলার মহসিন বলেও দাবি করেন।

কেশবপুর ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজী জানান, ভোলার জলদস্যুদের অত্যাচারে বাউফলের জেলেরা তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করতে পারছে না। আমরা কালামের মাধ্যমে সব জলদস্যুদের নাম ঠিকানা জেনে তেঁতুলিয়া নদীকে জলদস্যুমুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কালামের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে পুলিশ। কালামকে রিমান্ড চাওয়া হবে, যাতে ডাকাতদের মূল সংঘবদ্ধ চক্রটিকে আইনের আওতায় আনা যায়।

(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/কেএম)