দুর্ধর্ষ ‘গাংচিল বাহিনী’র প্রধান দুই সহযোগিসহ গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:১৬ | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর গাবতলী, কেরানীগঞ্জ, মোহাম্মদপুর ও সাভারের আশেপাশের এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিনকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এসময় সালাউদ্দিনের দুই সহযোগী আশরাফুল ও আকিদুলকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার ভোর রাতে সাভার উপজেলার আমিনবাজার এলাকার সালেহপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-৪ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানিয়েছে, অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, হিরোইন, ইয়াবা এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০০ সালে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার’র হাত ধরে সাভার আমিন বাজার ও তার আশপাশের এলাকায় উত্থান ঘটে ‘গাংচিল বাহিনীর’। এই বাহিনীর সদস্যরা বেশিরভাগ সময় পানিতে অবস্থান করায় গ্রুপের নাম দেওয়া হয় ‘গাংচিল বাহিনী’। ২০১৭ সালে গাংচিল বাহিনীর প্রধান আনারের মৃত্যুর পর তার সহযোগী সালাউদ্দিন নেতৃত্ব আসে।

এ বাহিনী মূলত আমিন বাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা উপজেলা, কাউন্দিয়া ইউনিয়ন, গাবতলি থেকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাধ, কেরানীগঞ্জ, বসিলা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, খুনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাদের হাতে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষ হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হলেও বাদ যায়নি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাদের কাজে বাধা এলেই হত্যা করো হতো পুলিশ, র‌্যাবের সদস্যদের। এই বাহিনীটির হাতে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত একজন এসআই, ২০০৭ সালে দু’জন র‌্যাব সদস্য হত্যার শিকার হয়েছেন। এছাড়া দিয়াবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রলুট এবং আমিন বাজার এলাকায় নৌ-টহল দলের অস্ত্রলুটের সঙ্গেও জড়িত ছিলো এই দলের সদস্যরা। এ বাহিনী তুরাগ ও বুড়িগঙা নদীর বালুভর্তি ট্রলার, ইটের কার্গোতে ডাকাতি ও আমিন বাজার এলাকার শতাধিক ইটভাটা থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করত।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে আসামিরা জানিয়েছে, তারা সবসময় নদীর কাছাকাছি এলাকায় আস্তানা গড়ে তোলে এবং বেশিরভাগ সময় নদীপথে যাতাযাত করে। তাদের যাতাযাতের বাহন ছিল ডাবল ইঞ্জিনচালিত ট্রলার। তারা সাভার-আমিনবাজার এলাকার বিভিন্ন ইটভাটার মালিক ও তুরাগ- বুড়িগঙ্গা নদীতে চলাচলকারী বালু ভর্তি ট্রলার মালিকের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করতেন। চাঁদা না দিলে নেমে আসতো ভয়াবহ বিপদ। বাহিনীটি সদস্যের বিরুদ্ধে সাভারসহ বিভিন্ন থানায় খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারিসহ একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮ সেপ্টেম্বর/এআর/ইএস)