কলাপাড়ায় ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর তালিকাভুক্তির দাবি

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৪৮

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ শতাধিক ঘড়বাড়ির ভূমি অধিগ্রহণ করে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ২৭টি পরিবারের বসতঘর তালিকাভুক্ত করার দাবিতে শনিবার সকালে মানববন্ধন করেছেন।

উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চরচান্দুপাড়ার বুড়োজালিয়া জেলে পল্লী এলাকায় ভুক্তভোগী জনগন এ মানববন্ধন করেছেন। ২৭টি পরিবারের বসতঘরে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এস.বি নাম্বার থাকা সত্ত্বেও পটুয়াখালী এল.ও অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে অবৈধ সুবিধা দিতে না পারায় তাদের বসতঘর তালিকার আওতায় নেয়া হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।

কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়ে নেয়। ২০১৪ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ঘর যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে তালিকাভুক্তি করার জন্য এস.বি নাম্বার দেয়। এস.বি নাম্বার অনুযায়ী অন্যান্য ঘর তালিকাভুক্ত করা হলেও স্থানীয় ২৭টি পরিবারের ঘর তালিকার আওতায় নেয়া হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মো. মহসীন ও সোহেল প্যাদা জানান, আমাদের প্রতিটি ঘরে এস.বি নাম্বার রয়েছে। ২০১৪ সালে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতিটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হিসেবে তালিকাভুক্ত করে এস.বি নাম্বার দেয়। কিন্তু আমরা এল.ও অফিসের কর্মকর্তাদের অর্থ দিয়ে খুশি করতে না পারায় আমাদের ঘরগুলো তালিকার বাইরে রেখে দেয়।

বহিরাগতদের মধ্যে বালিয়াতলী ইউনিয়নের বৈদ্যপাড়া গ্রামের মমিন তালুকদারের ছেলে আবদুল অহেদ তালুকদার, মুন্সিপাড়া গ্রামের কদম আলী বিশ্বাসের ছেলে লাবু বিশ্বাসসহ ২০ পরিবার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং আমাদের ঘরগুলো তালিকাভুক্তির আওতায় নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন তালুকদার ও উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাফর আলী হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, পটুয়াখালী এল.ও অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে নতুন ঘর তালিকাভুক্ত হলেও ৩০ বছর আগের ঘর তালিকাভুক্ত হয়নি। এমনকি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিটি ঘরের এস.বি নাম্বার থাকা সত্ত্বেও ২৭টি পরিবার তালিকার বাইরে রয়ে গেছে।

ঘুষের অভিযোগের বিষয়ে পটুয়াখালী এল.ও অফিসের কর্মকর্তাদের বক্তব্য জানতে চাইলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/কেএম)