ভোলায় এনজিওর বিরুদ্ধে বাড়িতে হামলার অভিযোগ

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:০৬

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভোলায় করোনাকালে ঋণের কিস্তির টাকার জন্য জামিনদারের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে ‘গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা’ নামের একটি এনজিও সংস্থার বিরুদ্ধে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন কলেজ শিক্ষক বিপ্লব পাল কানাই।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিপ্লব পাল কানাই অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় এনজিও ‘গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা’ থেকে ভোলা শহরের চকবাজারের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর তিন লাখ টাকা ঋনের জামিনদাতা হয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে ওই ব্যবসায়ী দেড় লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। তবে করোনা সংকটের কারণে ওই ব্যবসায়ী ছয়টি কিস্তি পরিশোধ করতে পারেননি। তাই গত ১৩ সেপ্টেস্বর দিন দুপুরে সংস্থার সাত-আটজন লোক কোনো চিঠি না দিয়ে বিপ্লব পাল কানাইর অনুপস্থিতিতে তার বাড়ি গিয়ে মহিলাদেরকে টাকার জন্য চাপ দেন।

এক পর্যায়ে তারা টাকার জন্য ঘরে ঢুকে টিভি, ফ্রিজ ও মালামাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। ঘরে থাকা নারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে বিপ্লব পাল কানাই জানান, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে ঋনের কিস্তি আদায়ে গ্রাহককে জবরদস্তি করা যাবে না। দাতা সংস্থা পিকেএসএফ একই নীতি পালন করছে। সেই ক্ষেত্রে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার বিরুদ্ধে কিস্তির টাকা আদায়ে জবরদস্তি করার বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে।

মাইক্রোক্রেডিট রেগুলারেটি অথরেটির গত ২৩ জুনের এক চিঠিতে বলা হয়েছে করোনাকালীন ঋণ গ্রহীতাদেরকে ঋনের কিস্তি পরিশোধের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাধ্য করা যাবে না। ঋনের শ্রেণিকরণ করা যাবে না। অথচ গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা গ্রাহকদেরকে ঋণের কিস্তির জন্য এ ধরনের কার্যকলাপ সরকারের আইনের পরিপন্থী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা নাগরিক কমিটির সভাপতি মো. আবু তাহের, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র ঘোষ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী।  

এদিকে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন সাংবাদিকদের জানান, ঋণের কিস্তি আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হয় না। বিপ্লব পাল কানাই এমন কি হয়েছে যে তার বাড়িতে গিয়ে টাকা চাওয়া যাবে না। ঋণ গ্রহীতার বকেয়া ছয় কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য জামিনদাতা বিপ্লব পালকে এ পর্যন্ত কোনে চিঠি দেয়া হয়নি বলেও স্বীকার করেন জাকির হোসেন মহিন। তবে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, বিপ্লব পাল কানাইয়ের দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই এনজিও সংস্থার কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযুক্তদের থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/কেএম)