থাইল্যান্ডে জোরদার হচ্ছে সরকারবিরোধী আন্দোলন

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৪১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

থাইল্যান্ডে আবারো জোরদার হয়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান উচার পদত্যাগের দাবিতে শনিবার থেকে আন্দোলনে যোগ দিতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নেমেছে গণমানুষের ঢল। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটিতে সরকারিবিরোধী সবচেয়ে বড় র‌্যালি হতে যাচ্ছে শনিবার।

সরকারের পদত্যাগ, রাজতন্ত্র সংস্কার ও বিরোধী নেতাদের হয়রানির অবসান ঘটাতে বিক্ষোভে নেমেছে তারা। যদিও সংস্কারের এই দাবি থাইল্যান্ডে বেশ স্পর্শকাতর। কারণ রাজতন্ত্রের সমালোচনা করা হলে থাইল্যান্ডে দীর্ঘ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

গেল ফেব্রুয়ারিতে দেশটির আদালত গণতন্ত্রপন্থী একটি বিরোধী দল ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দিলে দেশটিতে  নতুন করে বিক্ষোভ দানা বাধে।  ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টি (এফএফপি) নামের দলটি দেশটির তরুণ ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয় স্থান দখল করেছে। ২০১৯ সালের মার্চ থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে দলটি তৃতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক আসন লাভ করে। ওই নির্বাচনে জয় পায় ক্ষমতাসীন সাবেক সামরিক নেতাদের নেতৃত্বাধীন দলটি।

চলতি বছরের জুনে কম্বোডিয়ায় নির্বাসিত গণতন্ত্রপন্থী অ্যাকটিভিস্ট ওয়ানচালেরাম সাতাসাকসিত নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থাইল্যান্ডের বিক্ষোভ নতুন গতি পায়। ২০১৪ সালে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই কম্বোডিয়ায় নির্বাসিত থাকা ওই অ্যাকটিভিস্টের সন্ধান এখনো মেলেনি।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ থাই সরকার তাকে অপহরণের নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছে। তবে দেশটির পুলিশ ও সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এসব ঘটনার জেরে জুলাই মাস থেকে থাইল্যান্ডে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে নিয়মিত বিক্ষোভ চলছে।

শনিবারের বিক্ষোভে আয়োজকেরা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদের অদূরে একটি পার্ক প্রতিকী দখল করার পরিকল্পনা করছেন। পার্কটি রাজকীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হয়। গেল আগস্টে আরেক বিক্ষোভে দশ হাজার বিক্ষোভকারী যোগ দেয় বলে স্বীকার করে পুলিশ।

তবে আয়োজকেরা আশা করছেন শনিবারের বিক্ষোভে আরও অনেক বেশি বিক্ষোভকারী যোগ দেবে। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার মানুষ পার্কটিতে সমবেত হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/এনএইচএস/জেবি)