হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিচালনায় তিনজনের প্যানেল

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২৩:২৬ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২৩:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

দেশের সবচেয়ে বড় কওমি মাদ্রাসা চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের একটি প্যানেল করা হয়েছে। তারাই মাদ্রাসাটি পরিচালনা করবেন।

৩৪ বছরের মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ইন্তেকালে পদটি শূন্য হওয়ায় শনিবার রাতে মাদ্রাসাটির শূরা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়।

মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া তিন পরিচালক হলেন, মুফতি আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ আহমদ ও মাওলানা ইয়াহিয়া।

এছাড়া হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসাটির প্রধান শায়খুল হাদিস ও নাজিমে তালিমাতের (শিক্ষা পরিচালক) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মাদ্রাসার সব কাজের সুরাহা করবেন। তাদের সবার সমান অধিকার থাকবে। কেউ একজন এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

শূরা কমিটিতে মাদ্রাসার সদস্য হিসেবে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মাওলানা শেখ আহমদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বাথুয়া মাদ্রাসার মাওলানা শফী, চারিয়া মাদ্রাসার মাওলানা আবদুল্লাহ, রাঙ্গুনিয়া মাদ্রাসার মাওলানা সাদত হোসাইন, ঢাকার মারকাজুদ দাওয়ার মুফতি আবদুল মালেক ও মাদানীনগর মাদ্রাসার মুফতি ফয়জুল্লাহকে সদস্য করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বৈঠকে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শূরার সিনিয়র সদস্য ও মেখল মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নোমান ফয়জী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী, মাওলানা মুফতি নুর আহমদ, মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদি, মাওলানা শোয়াইব নোমানী, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুর, মাওলানা উমর ফারুক প্রমুখ।

গত ১৭ জুন জুনায়েদ বাবুনগরীকে সরিয়ে শেখ আহমদকে সহকারী পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আর সহকারী শিক্ষা পরিচালকের পদে ছিলেন আহমদ শফীর ছোট ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী। ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে গত বৃহস্পতিবার আনাস মাদানীকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরদিন ছাত্র বিক্ষোভের মুখে স্বেচ্ছায় মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান আল্লামা আহমদ শফী। এর একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। শনিবার দুপুরে হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তাকে সমাহিত করা হয়।

সূত্র জানায়, আল্লামা আহমদ শফী ও তার ছেলে আনাস মাদানীর অনুসারীরা হাটহাজারী মাদ্রাসার কর্তৃত্ব হারিয়েছেন। যারা মাদ্রাসায় আছেন তারাও কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এমনকি শূরা বৈঠকে আহমদ শফীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/জেবি)