দিনে কয়টা ডিম খাবেন?

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:০৭ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:১৭

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বেশিরভাগ ডাক্তারই স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা বলছেন, বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিম। যেমন- ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।

ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই অবগত। সুষম আহারের তালিকায় রয়েছে ডিম। শিশুর শারীরিক বিকাশ, রোগীর সেরে ওঠার পর শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে এর জুড়ি মেলা ভার! তবে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টরল, হার্টের সমস্যা, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলাই ভালো।

ডাক্তারদের মতে, দিনে একটা- এমনকি দুটো ডিমও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বেশি ডিম খাওয়ায় ভয়ের কোনো কারণ নেই।

পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে ২৫৫ মিলিগ্রাম আর হাঁসের ডিমে ৩৫৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টরল থাকে। তাদের মতে, দু-একটা হাঁস-মুরগির ডিম খেলে এতে থাকা কোলেস্টরল স্বাভাবিকভাবে আমাদের রক্তের কোলেস্টরলের মাত্রাকে খুব একটা প্রভাবিত করে না।

পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়াবেটিস কোনো মানুষ বা যার কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা রয়েছে অথবা যার স্থুলতার সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম খাওয়ার ফলে সমস্যা বাড়তে পারে। তবে কোনো শিশু বা তরুণের ক্ষেত্রে দুটা ডিম বা ডিমের কুসুম খেলে কোনো সমস্যই হবে না।

শরীর অসুস্থ না করে দিনে সর্বাধিক কতগুলো ডিম খাওয়া যেতে পারে? ‘ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন’-এর বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে তিনটের বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। কারণ, এটি উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত যা ভবিষ্যতে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ভালোবেসে ডিম খান তবে সবটাই থাকুক নিয়ন্ত্রণে।

ডিমের উপকারিতা নির্ভর করে ডিম কীভাবে রান্না করা হচ্ছে তার উপর। কীভাবে ডিম রান্না করা উচিত। ডিম রান্নার ব্যাপারে সবচেয়ে সহজ, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত হলো ডিম সিদ্ধ করা বা পানিতে ডিম পোচ করা।

বেশিরভাগ পুষ্টিবিদ ডিম তেলে  না ভেজে খাবার পরামর্শ দেন। কারণ ডিম যে তেলে বা মাখনজাতীয় চর্বিতে ভাজা হয়, তার মধ্যেকার স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

কাঁচা ডিম বা হালকা করে রান্না ডিমও পুষ্টিযুক্ত, যদি সেই ডিম স্যালমোনেলা জাতীয় জীবাণুমুক্ত হয়- অর্থাৎ জীবাণু না থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা খামারিরা নিয়ে থাকেন।

জীবাণু সংক্রমণের ব্যাপারে উদ্বেগ থাকলে ডিম রান্না করে খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।

 

কীভাবে ডিম সংরক্ষণ করবেন

 

কখনও এমন ডিম কিনবেন না যা ভাঙা বা ফাটা- কারণ সামান্য ফাটা থাকলেও সেখানে ধুলোবালি বা জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে।

খাদ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো ডিম ফ্রিজে রাখুন - ডিম রাখার বিশেষ যে বাক্স ফ্রিজে থাকে সেখানে ডিম সবচেয়ে ভালো থাকে।

বাক্সের ভেতরে থাকলে ডিমের সাদা অংশ তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। কিন্তু ডিমের কুসুম ভালো থাকে তিনদিন। বরফে হিমায়িত অবস্থায় ডিমের সাদা ও কুসুম ভালো থাবে তিন মাস পর্যন্ত।

(ঢাকাটাইমস/২০ সেপ্টেম্বর/আরজেড/এজেড)