তাহিরপুর সীমান্তের মাঠটি গারোদেরই থাকবে

তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৪৭ | প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:১৬

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের বড়গোপটিলা গারো মাঠটি গারোদেরই থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও। শনিবার ওই মাঠে গিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ এ ঘোষণা দেন।

এর আগে স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে বৈঠক করেন তারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, স্থানীয় উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন,যুবলীগ নেতা মাসুক মিয়া, শঙ্কর মারাক, রমেশ জুয়েল সলোমার, যতীন্দ্র মারাক, পরিতোষ চাম্বুগং, সুনীল দাজেল প্রমুখ।

বৈঠক শেষে সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। তিনি জানান, মাঠ পরিচালনার জন্য নয় সদস্যের কমিটি থাকবে। এর মধ্যে সাতজন গারো এবং দুজন বসতি স্থাপনকারী বাঙালি। সপ্তাহের পাঁচ দিন মাঠে গারোরা খেলবে, দুদিন অন্যরা। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গারোদের মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্তে গারোরা খুশি হন। সিদ্ধান্ত মেনে নেন অন্যরাও।

১৯৪৮ সালে জঙ্গল কেটে মাঠ প্রতিষ্ঠা করে খেলাধুলা, আদিবাসী দিবসসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন কড়ইগড়া, চানপুর, রাজাইরসহ সীমান্তের কয়েকটি গ্রামের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোকজন। তিন মাস ধরে হঠাৎ মাঠ দখলের চেষ্টা চালায় বড়গোপটিলার কিছু যুবক। তারা গারো যুবকদের হুমকি দেয়াসহ সাম্প্রদায়িক কথা বলে আসছিল।

এ নিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বড়গোপটিলা গারো মাঠে সালিশ বসে। ওই বৈঠকেও গারোদের মাঠ প্রতিষ্ঠার অবদানের কথা স্বীকার করেন সালিশকারীরা। কিন্তু দখলকারীরা কারো কথাই মানছিল না। সালিশে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ওই দিনও কোনো সমাধান হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :