স্ত্রীর পেট কেটে গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ জানার চেষ্টা যুবকের

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:১২ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৫১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ছেলের আশায় পরপর পাঁচটি মেয়ে হয়েছিল পান্নালালের। তাই ষষ্ঠবার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে পারেনি সে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর পেট কেটে দেখার চেষ্টা করে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে। এই পাশবিক ঘটনার পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পান্নালালকে। তার স্ত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে। পান্নালালের বয়স ৩৫ বছর। বরেলীর সিভিল লাইন পুলিশ স্টেশন এলাকার নেকপুরে স্ত্রী ও পাঁচ মেয়েকে নিয়ে থাকে পান্নালাল। শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর পেট কেটে পান্নালাল দেখার চেষ্টা করে যে সন্তান আসতে চলেছে তা ছেলে না মেয়ে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন পান্নালালের স্ত্রী। খবর দ্য ওয়ালের।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই যুবতীর চিৎকারে সেখানে এসে উপস্থিত হন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনা দেখে শিউড়ে ওঠেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে তারা যুবতীকে নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে বরেলী হাসপাতালে পাঠানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

খবর পেয়েই হাসপাতালে যান যুবতীর পরিবারের লোকেরা। তারা অভিযোগ করেন, পরপর পাঁচ মেয়ে হওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করত পান্নালাল। এবার ছেলে চেয়েছিল সে। কিন্তু আগে থেকে নিশ্চিত হওয়ার জন্যই স্ত্রীর পেট কেটে সন্তানের লিঙ্গ জানার চেষ্টা করেছে সে। যুবতীর পরিবারের তরফেই থানায় পান্নালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা প্রবীণ সিং চৌহান জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরে পান্নালালের নামে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুধুই কি সন্তানের লিঙ্গ জানার চেষ্টা, নাকি এই কাজের পিছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল পান্নালালের তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই যুবতী ৬ থেকে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি।

ঢাকা টাইমস/২০সেপ্টেম্বর/একে