হাসপাতালটির চিকিৎসা দরকার

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৩৮

আশিকুর রহমান, কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধি

জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে দীর্ঘদিন ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। অকেজো যন্ত্রাংশ ও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কালিয়াকৈরের সাধারণ জনগণ। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন মাত্র আটজন চিকিৎসক ও কর্মচারি। পরিস্থিতি এমন যেন হাসপাতালটিরই চিকিৎসা দরকার।

১৯৬৪ সালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলি এলাকায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট একটি সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালে আরও ১৯ শয্যা বৃদ্ধি করে মোট ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থা না করায় বেহাল অবস্থায় চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে ২০ জন চিকিৎসক ও কর্মচারির হাজিরা থাকার কথা থাকলেও মাত্র আটজন চিকিৎসক ও কর্মচারী দিয়ে চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। এর মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), মেডিকেল অফিসার, মেডিকেল অফিসার কালিয়াকৈর বাজার, সহকারী সার্জন চাপাইর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ চারজন চিকিৎসকের পদই শূন্য রয়েছে।

ছয়জন চিকিৎসক প্রেষণে আছেন। তারা হলেন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. সঞ্চিতা ভৌমিক, চাবাগান উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমও ডা. গাজী মাহাবুব রহমান, এমও (ইউনানি) ডা. ইসরাত জাহান, সহকারী সার্জন ডা. তাসনুভা জাহান, সহকারী সার্জন ডা. শরিফুন নাহার, সহকারী সার্জন ডা. আ ন ম মাইনুল কুদ্দুস।

এছাড়া জুনিয়র কনসালটেন্ট অ্যানেস. ডা. এম এম আব্দুল ওয়াদুদ ও এমও ডা. আবুল খায়ের সালাউদ্দিন ভুঁইয়া দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত আছেন। ওই দুজনের নামে বিভাগীয় মামলা রয়েছে। বর্তমানে মাত্র আটজন চিকিৎসক দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে এ হাসপাতালের কার্যক্রম। এদের মধ্যেও আবার ডে অফ, ছুটি, ট্রেনিং ও রাত দুপুরের ডিউটিতে থাকেন। খুব অল্প সংখ্যক চিকিৎসক আর যন্ত্রাংশের সল্পতা থাকায় রোগীদের চিকিৎসা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই প্রতিনিয়তই দুর্ভোগে পড়ে থাকতে হয় রোগীদের।

কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, ৫০ শয্যা হলেও ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে হাসপাতালটি। এর মধ্যে চারটি পদ শূন্য, ছয়জন প্রেষণে, দুজন অনুনোমদিত অনুপস্থিত রয়েছেন। তাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ডা. প্রবীর বলেন, বর্তমানে মাত্র আটজন চিকিৎসক দিয়ে ৫০ শয্যার হাসপাতাল চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর ঠিকমতো হাসপাতালে না আসায় আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে (আরএমও) শোকজ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/কেএম)