ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ: সাক্ষ্য দিলেন বাবা

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:০৬ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৩৪

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
আসামি মজনু।

রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের বহুল আলোচিত ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ভুক্তভোগীর বাবা। তিনি এ মামলার বাদী।

রবিবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম কামরুনাহার এ সাক্ষ্য গ্রহণ করে সোমবার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণকালে আসামি মজনুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামি মজনুর পক্ষে রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম তাকে জেরা করেন।

ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ জানান, মামলাটির বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণকালীণ কোনো তথ্যই প্রকাশ করা যাবে না।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি চার্জগঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। সেখানে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন মজনু।

মামলাটিতে গত ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় চলতি বছর ৯ জানুয়ারি আসামি মজনুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর থেকে  কারাগারেই আছেন মজনু।

চার্জশিটে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি  ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে ৪০/৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে ভিকটিম (২১) পৌঁছালে আসামি মজনু পেছন থেকে গলা ধরে ফুটপাতে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরে। ভিকটিম চিৎকার করতে গেলে আসামি তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন মজনু ভিকটিমকে অচেতন অবস্থায়ই ধর্ষণ করেন। সে একজন অভ্যাসগতভাবে ধর্ষণকারী। সে প্রতিবন্ধী, পাগল, ভ্রাম্যমাণ নারীদের সম্মতি ব্যতীত এই অনৈতিক কাজ করে আসছে। ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় থাকে। তার স্থায়ী কোন বসবাসের জায়গা নেই। এর আগে র‌্যাব-১, উত্তরা এর সিপিসি-১ এর চৌকশ দল গত ৮ জানুয়ারি মজনুকে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাস স্ট্যান্ডের পূর্ব পাশের পাকা রাস্তার উপর হতে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি মতে ভিকটিমের ব্যাগ, মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি জিন্সের প্যান্ট ও একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিন আসামি ভিকটিমকে একা পেয়ে জোর করে ধরে ফুটপাতের পাশে বন-জঙ্গলের ভেতরে ফেলে ধর্ষণ করে।

গত ৮ জানুয়ারি মজনু গ্রেপ্তার হয়। এরও আগে গত ৬ জানুয়ারি ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/ইএস)