নোবিপ্রবিতে একাডেমিক-প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জনের আল্টিমেটাম

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:১৭

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে ১ অক্টোবর থেকে সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে নোবিপ্রবি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

রবিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে তারা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি, অফিসার সমিতি ও কর্মচারী নেতৃবৃন্দ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। অস্থায়ী শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রায়হান আহমেদ রিমন ও সাদিয়া আফরোজ, কর্মকর্তাদের মাঝে বক্তব্য রাখেন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন এবং কর্মচারীর মধ্যে বক্তব্য রাখেন টিটু চন্দ্র দাস।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাছুটির বিপরীতে, অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের পরবর্তী পদে পদোন্নতির সময়ও প্রায় ১ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এদিকে অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মাস্টার রোল কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা বিরাজ করছে। তাই বক্তারা নোবিপ্রবিতে সব ধরনের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।

বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান উপাচার্য নোবিপ্রবিতে যোগদানের পর হতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তথা একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনা মহামারিতেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোভিড ল্যাব পরিচালনাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলো বিভাগেই পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, মাত্র ২ জন শিক্ষক দিয়ে ২টি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এমতাবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অচিরেই যেন এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে উদ্যোগী হন, মানববন্ধনে এমনটাই দাবি করেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি, অফিসার সমিতি ও কর্মচারী নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ, সাবেক উপাচার্য অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সব পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে স্থগিত আদেশের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো স্থগিত আদেশ তুলে নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক ও কর্মকর্তার সংকট চললেও নতুন করে নিয়োগ দিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :