বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে বিভ্রান্তি কাটলো

আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য বার কাউন্সিল ঘোষিত ২৬ সেপ্টেম্বরের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষার জন্য ভেন্যু না পাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

রবিবার বিকালে বার কাউন্সিলের পরীক্ষা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে ২৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল তার অবসান হয়েছে। শিগগিরই লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের পরবর্তী তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।

পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে রবিবার রাতের মধ্যেই বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিলের হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মোখলেছুর রহমান বাদল।

এর আগে ২৭ জুলাই বার কাউন্সিলের এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার নেওয়ার জন্য আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের হল না পাওয়ার কারণে পরীক্ষা স্থগিত করেছে এ উদ্দেশে গঠিত এনরোলমেন্ট কমিটি। তবে আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে নোটিশ প্রকাশ করা হবে।

পূর্বে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার (ভাইবা) মাধ্যমে আইনজীবীদের সনদ প্রদান করা হতো। তবে দিন দিন শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়তে থাকায় আইনজীবী হতে বর্তমানে নৈবর্ত্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার ওই তিন ধাপের যে কোনও একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ পান।

তবে দ্বিতীয়বারেও অনুত্তীর্ণ হলে তাদেরকে পুনরায় শুরু থেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সে অনুসারে ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে এমসিকিউ উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী সহ সর্বমোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদ প্রত্যাশী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

আপিল বিভাগের রায় প্রতিপালন না করে অনিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণ ও খাতা রিভিউ সুবিধা প্রদান না করা সহ বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। আন্দোলনের মুখে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বার কাউন্সিল।

(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/বিইউ/ডিএম)