নির্মাতা আদিত্য জনির মিডিয়ায় আসার গল্প

বিনোদন প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৪২

ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি কচিকাচার আসর ও স্কাউট করতেন নির্মাতা আদিত্য জনি। এরপর তার নেশা চাপে গান শিখবেন। সেই মতো ভর্তি হন চাঁদপুর সংগীত নিকেতনে। গায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কিছু দিন গান শেখার পর হঠাৎই তার মনে হলো অভিনয় করবেন।

অভিনেতা হওয়ার মন বাসনা নিয়ে আদিত্য শুরু করেন থিয়েটারে কাজ। চাঁদপুরের বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীতে নিয়মিত চলতে থাকল তার মঞ্চে নাটক করা। চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে পড়াশুনা শেষ করে ১৯৯৮ সালে চলে আসেন ঢাকায়। খুঁজে নেন চাকুরি।

কিন্তু চাকরিতে পেট ভরলেও মন ভরে না। তার মন পড়ে ছিল থিয়েটারের মধ্যেই। ভর্তি হলেন লিয়াকত আলী লাকির থিয়েটারে। সকাল সন্ধ্যা অফিস তারপর থিয়েটার কিন্তু মিডিয়াতে কোথাও সুযোগ মিলছে না।

জনি বলেন, ‘জনপ্রিয় গায়ক এস ডি রুবেলের হাত ধরে মিডিয়াতে পথচলা শুরু করি। এক কথায় বলা যায়, এস ডি রুবেল না হলে হয়তো আমার মিডিয়াতে আসা হতো না। ২০০৫ থেকে এখন পর্যন্ত প্রফেশনালি কাজ করে যাচ্ছি।’

বর্তমানে নাটক নির্মাণে ব্যস্ত জনি। প্রচার চলতি তার ধারাবাহিক ‘দাদো’। নাগরিক টিভিতে প্রতি শনি, রবি, সোম ও মঙ্গলবার রাত ১০টায় নাটকটি প্রচার হয়। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির, তানিয়া বৃষ্টি, মৌমিতা মৌ প্রমুখ। জনি বলেন, ‘এই ধারাবাহিকটি নির্মাণে মাঈনুল হাসান খোকনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

প্রসঙ্গত, জনি এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি একক নাটক নির্মাণ করেছেন। সেগুলো রয়েছে প্রচারের অপেক্ষায়। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে- অজ্ঞাতবাস, প্রথম ভালোবাসা, চোখের আলো, হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ, পাশে থাকাই কাছে থাকা না, অতিথি, যেমন জামাই তেমন বৌ, অনুক্ষনে অনুভবে, এ কেমন কাছে আসা, স্বপ্নে জড়ানো সুরের তার, দুই পুতুলের গল্প, স্বপ্নের সিড়ি, স্যালুট, ভালোবাসার চাদর, স্বপ্নের করিডোরে, মেঘ মালা, সহেনা যাতনা, পেন্সিলে আঁকা জীবন, অথৈ নীলিমা, অচেনা রাত্রির অজানা গন্তব্য, যাও পাখি বলো, ডুব সাঁতার, নায়িকার বিয়ে-২, ছেলে ধরা, বাটপার, টু-লেট পার্টনার, অনুশোচনা।

ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :