‘হুতি বিদ্রোহীরা আরব অঞ্চলের জন্য হুমকিস্বরূপ’

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৩৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হুতি বিদ্রোহীদের হাতে যতদিন অস্ত্র আছে ততদিন তারা সৌদি আরব, ইয়েমেন ও সমগ্র আরব অঞ্চলের জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা প্রতিনিয়ত সৌদির বেসামরিক লোককে হত্যার মধ্যে দিয়ে ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন’ লঙ্ঘন করছে। বলেছেন, মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. হামাদান আল সেহেরি।

আল সেহেরির দাবি, ‘সৌদির বেসামরিক লোকদের হত্যার উদ্দেশ্যে তারা বালিস্টিক মিসাইল এবং ড্রোন হামলা প্রতিনিয়ত চালাচ্ছে। যদি সৌদি সরকার তাদের হামলার জবাব তৎক্ষণাৎ না দিত তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত।’ 

গেল শনিবার হুতিরা সৌদি আরবের দক্ষিণে জাজান অঞ্চলের একটি গ্রামকে লক্ষ্যে করে মিসাইল ছুড়ে। যার আঘাতে দেশটির পাঁচ বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মিসর, জর্ডান এবং অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশস (ওআইসি)।   

সৌদি জোটের অভিযোগ, ২০১৫ সালের পর থেকে দেশটিতে হামলা চালিয়ে বেসামরিক লোকদের হত্যা করছে ইরান সমর্থিত এই মিলিশিয়া বাহিনী।

আল সেহেরি বলেছেন, ‘এই ধরনের একটি ‘জঙ্গিগোষ্ঠী’ থেকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ছাড়া অন্য কিছু আশা করা যায় না’। তাদের এমন ধ্বংসাত্মক কার্মকাণ্ডের বিপরীতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিশ্চুপ ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।

বিদ্রোহী এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি ইরানের ওপর নতুন করে অস্ত্র ও পরমাণু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা পুর্নবহাল করা হয় তাহলে সেটি হবে সঠিক কাজ। কারণ এই মিলিশিয়া বাহিনীর সাথে ইরানের সম্পর্ক পূর্ব প্রমাণিত। তাদের দেয়া অস্ত্র ব্যবহার করেই হুতিরা আজ মধ্যপ্রাচ্যে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালাচ্ছে।’   

‘হুতিদের কার্যক্রম ইয়েমেনের সাধারণ জনগনের জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ তারা রাজধানী সানা শহরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সৌদি আরবের উদ্দেশে রকেট ছুড়ে’ যোগ করেন এই রাজনীতি বিশ্লেষক।  

জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সাধারন মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার অংশ হিসেবে জাতিসংঘের উচিত ইয়েমেনবাসিকে যুদ্ধের এই অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্ত দেয়া। হুতিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা।’ সূত্র: আরব নিউজ

(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/এনএইচএস/জেবি)