চাঁদপুর পৌর নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫১

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট খারিজের পর আরও একটি রিট করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বরাবর এ রিট আবেদনটি করেছেন চাঁদপুর পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মিজি।
রিট আবেদনের গ্রাউন্ডে অভিযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, আইন মোতাবেক নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা না করা, নতুন তফসিলে কাউন্সিলর পদে নতুন কাউকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না থাকা এবং করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা।
এ বিষয়ে রিটকারীর সাথে একাধিকবার তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে পূর্বে করা রিট আবেদন খারিজ হওয়ার পর আবারো একটি রিট করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল।
রবিবার রাতে তিনি তার নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে একটি সিন্ডিকেট উঠে-পড়ে লেগেছে। তাদের দায়ের করা রিট রবিবার খারিজ হওয়ার পরপরই সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আগে প্রস্তুত থাকা আরও একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। পূর্বের রিটকারী ও নতুন রিটকারীরা একই সূত্রে গাঁথা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ১০ অক্টোবর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করেছে। স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি সিন্ডিকেট এই নির্বাচনকে প্রলম্বিত করার অপচেষ্টা করছে। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, কোনো অপশক্তি, সিন্ডিকেটই ১০ অক্টোবরের নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে পারবে না। নির্বাচন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত দিনেই হবে। এ নির্বাচনকে ওই সিন্ডিকেট একদিনও পেছাতে পারবে না।
জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর আকস্মিক মৃত্যুতে নির্বাচনটি স্থগিত হয়ে যায়। এরপর করোনা পরিস্থিতির কারণে সারাদেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এখন সে পরিস্থিতি নেই। বহুল প্রত্যাশিত এ পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দল-মত নির্বিশেষে সকল প্রার্থী আবার তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আবার প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনের মাঠে নামে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন- এ নির্বাচনের প্রাক্কালে একটি রিট পিটিশন করা হয়। যে রিটের উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে প্রলম্বিত করা। ওই রিটের পরপরই গোটা চাদপুরের মানুষ এই অপচেষ্টাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি বলেন, আমার নির্বাচনের ক্যাম্পেইনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি- নির্বাচনের মাঠে ভোটের লড়াইয়ে আমার প্রতীক অত্যন্ত সম্মানজনক, গ্রহণযোগ্য এবং সুনিশ্চিত বিজয়ের পথেই আছি। ঠিক এ অবস্থাতেই এই প্রতীকের পরাজয়কে নিশ্চিত করার জন্য সেই পুরনো একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে চাইছে।
আমি মনে করি, তাদের এই চেষ্টা শুধু আমাকে ঠেকানোর জন্য নয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে বাড়তি সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছে সিন্ডিকেট চক্রটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান ভূইয়া, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ, সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, শরীফ চৌধুরী, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, এর আগেও করোনার ভুয়া তথ্য দিয়ে এবং ভোটার তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের ভোটার না করার মিথ্যা অভিযোগ এনে গত ১৩ সেপ্টেম্বর একটি রিট করেন পৌরসভার বর্তমান মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদের ভাগনে মাহবুব আলম আখন্দ এবং মেয়রের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার ভাই হাসিবুল হাসান। যদিও রিটকারীরা এ সম্পর্কে জানেন না বলে দাবি করেন।
(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/এলএ)