নুরের বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণ-ডিজিটাল আইনে মামলা সেই ছাত্রীর

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৫৭ | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এবার অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মামলাটি করেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর কোতয়ালি থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। ধর্ষণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় নুরকে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে।

ধর্ষণের স্থান হিসেবে কোতয়ালি থানাধীন মিউনিসিপ্যাল হকার্স মার্কেট এলাকায় একটি হোটেলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এক নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগকে। দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে নুরুল হক নুরকে।

অন্য তিন আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি। মঙ্গলবার কোতায়ালি থানা সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে ঢাবির এই ছাত্রীই গত রবিবার রাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় নুরুল হক নুরসহ এই ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়।

লালবাগ থানায় করা মামলাটিতে প্রধান আসামি করা হয় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়।

নুর ও মামুন ছাড়া লালবাগ থানায় করা মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।

লালবাগ থাকায় করা মামলার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ করার সময় নুরসহ সাতজনকে রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘণ্টাখানেক ডিবি কার্যালয়ে রাখার পর নুর ও তার সহযোগীদের ছেড়ে দেয়া হয়।

২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র নুর আলোচনায় আসেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে। এই আন্দোলন তাকে দেশব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। এরপর তিনি বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে ডাকসু নির্বাচন করে ভিপি নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তিনি একটি নতুন রাজনৈতিক দলও গঠন করেছেন।

ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/এসএস/এমআর