দেখা মিলছে না প্রধান আসামি মামুনের

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৫৭ | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:১৮

আল-আমিন রাজু, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকে তার দেখা মিলছে না। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল, নেতাদের আটক করা হলেও তাকে কোথাও দেখা যায়নি। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন কেউ বলতে পারছে না। মামলার ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্যও পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন নাম্বারই বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।  

গত রবিবার রাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলাটি করেন মামুনের সহপাঠী এবং ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ অধিকার আন্দোলনের কর্মী এক ছাত্রী। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন, নাজমুল হাসান, নুরুল হক নুর, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি। এই মামলার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ করতে গিয়ে নুরসহ সাত কর্মী গ্রেপ্তার হন। পরে অবশ্য পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মামলাটি করেন। মঙ্গলবার রাজধানীর কোতয়ালী থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। ধর্ষণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ভিপি নুরকে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে কোতয়ালি থানাধীন মিউনিসিপ্যাল হকার্স মার্কেট এলাকায় একটি হোটেলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এক নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগকে। দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে নুরুল হক নুরকে।

অন্য তিন আসামি হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি। মঙ্গলবার কোতায়ালী থানা সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

(ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/এআর/জেবি)