লক্ষ্মীপুরে ব্যক্তি উদ্যোগে হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের অভ্যন্তরে অবস্থিত ৩০ শয্যা বিশিষ্ট কোভিড-১৯ ইউনিটের জন্য হাইফ্লো সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। গ্রেটওয়াল সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামছুল হুদার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এটি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল।

এ সময় বক্তব্য দেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফ্ফার, পৌর মেয়র আবু তাহের, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ  সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, বায়োফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আনোয়ারুল আজিম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল, বেঙ্গল এজেন্সির চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, জেলা উন্নয়ন বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক হেদায়েত উল্যাহ, জেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূইয়া আজাদ প্রমুখ। এ সময় জেলা-উপজেলা বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ৪৯ ইউনিয়নের অসহায় ও দুঃস্থদের জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জেলা প্রশাসকের হাতে ৯৮ লাখ টাকার চেক তুলে দেন গ্রেটওয়াল সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামছুল হুদা।

এ সময় সামছুল হুদা বলেন, করোনা ও অন্যান্য রোগাক্রান্ত মুমূর্ষূ রোগীর কথা চিন্তা করে সরকারের দিকে না তাকিয়ে নিজ উদ্যোগে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হয় হাইফ্লো সেন্টাল অক্সিজেন প্লান্ট। দূর-দূরান্ত থেকে হাসপাতালে এসে অক্সিজেন না পাওয়ায় চিকিৎসার জন্য ঢাকা চট্রগ্রামসহ অন্যস্থানে যেতে অনেক মানুষ মারা যায়। তাই মানুষের কথা চিন্তা করে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।  এছাড়া অসহায় ও দুঃস্থদের জন্য ৯৮ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়। এটি অব্যাহত থাকবে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফ্ফার বলেন, পাঁচ হাজার লিটার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন এ সেন্টাল অক্সিজেনের মাধ্যমে একসঙ্গে  ৫০/৬০জন রোগীকে সরবরাহ করা যাবে। সাধারণভাবে প্রত্যেক রোগী প্রতি মিনিটে পাঁচ থেকে ছয় লিটার অক্সিজেন নিতে পারবেন এ লাইনের মাধ্যমে। কোভিড-১৯ হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে দাবি করেন তিনি। এ প্লান্টের মাধ্যমে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় উৎপাদন হবে অক্সিজেন।

জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, হাসপাতালে করোনা ও অন্যান্য রোগীদের বেলায় অক্সিজেনের যে অভাব ছিল, সেটা এখন আর হবে না। ব্যক্তি উদ্যোগের এমন কাজেরও প্রশংসা করেন জেলা প্রশাসক। তাই সবাইকে এসব মহৎ কাজে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/কেএম)