পর্তুগালে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের বিদায় সংবর্ধনা

পর্তুগাল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:৩৭

পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকীর বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রুমে পর্তুগাল আওয়ামী লীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিমের সভাপতিত্বে ও পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলওয়ার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের তৃতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজী।

বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা, দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসাইন, অর্থ সম্পাদক আলিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বশির, ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আলম শফি, আওয়ামী লীগ নেতা কওছার, উজ্জ্বল, সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন ও সাংবাদিক জহুরুল মুন।

বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ক্রেস্ট ও শুভেচ্ছা উপহার দেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী তার বিদায়ী ভাষণের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশ স্বাধীন হয়েছে বলে আজ আমি রাষ্ট্রদূত হয়ে এখানে আসতে পেরেছি। দেশ স্বাধীন না হলে হয়তো আজ আমি রাষ্ট্রদূত হতে পারতাম না। আর জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলার গড়ার প্রত্যয়ে আমি পর্তুগালে আসার পর বাংলাদেশিদের উজ্জীবিত রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করেছি যাতে তারা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের মান সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

রাষ্ট্রদূত পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজ আমি এখানে সংবর্ধনা নিতে আসিনি, এসেছি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিদায় নিতে।

বক্তারা বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের কূটনৈতিক দক্ষতা, গঠনমূলক কর্মতৎপরতা, চারিত্রিক গুণাবলি এবং পর্তুগালে বাংলাদেশি জনশক্তি বৃদ্ধি ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিম ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলেন, হৃদয় ব্যথায় বিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বড় করুণ ‘বিদায়’ এ মর্মবাণী। বিদায়ের এই বেদনাবিধূর করুণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে কবির ভাষায় বলতে হয়, যেতে নাহি দেব হায়, তবু যেতে দিতে হয়। যাওয়া আসার এ রঙ্গীন পৃথিবীতে নিয়তির এটি এক অমোঘ বিধান। ভারাক্রান্ত হৃদয়ের অত্যন্ত সুগভীরে প্রতিধ্বণিত হচ্ছে আপনার অস্তিত্বের প্রতিধ্বনি। আপনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন আমাদের স্মৃতির পাতায় পাতায়। আপনি এঁকে যাচ্ছেন যে কর্মপ্রেরণা আর ভালবাসার আলপনা, তা আমাদের মাঝে স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবে। শাশ্বত, সত্য ও সুন্দরের সাধনায় উৎসর্গীকৃত প্রাণ ও আপনার পথচারণায় আমাদের শিখিয়েছেন মাতৃভূমিকে সুগভীরভাবে ভালবাসার, শিখিয়েছেন, দেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে নিজেদের সর্বদা উজ্জীবিত থাকার। আপনার এই সত্য ও সুন্দরের পরম প্রকাশকে আমরা জানাই হৃদয় নিঃসৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আন্তরিক অভিনন্দন।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :