ধামইরহাটে ঘরে ঘরে বেড়েছে জ্বর-সর্দি-কাশি

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৫৬ | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:০০

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নওগাঁর ধামইরহাটে আবহাওয়ার বেখেয়ালি আচরণে দিনভর কখনো বাড়ছে ভ্যাপসা গরম, আবার কখনো টানা বৃষ্টিতে মিলছে একটু স্বস্তি। আবহাওয়ার এমন বৈরী পরিস্থিতিতে কমবেশি প্রতিটি বাড়িতে চলছে সর্দি, জ্বর, কাশিসহ মাথা ব্যথার প্রকোপ। ফলে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বিশেষ করে এক বছর থেকে শুরু করে ১০-১২ বছরের শিশু ও বয়স্কদের মাঝে এমন রোগের প্রভাব পড়ছে বেশি। একদিকে মহামারি করোনাভাইরাস, অন্যদিকে জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যথার লক্ষণ নিয়ে অনেকে ভয়ে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে সেরে ওঠার চেষ্টা করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশেষ করে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারগুলোতে এ ধরনের রোগীর উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকছে। এসব রোগের প্রকোপ দেখা দেয়ায় ফার্মেসিগুলোতে ওষুধের দামও চড়া দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

এ বিষয়ে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের অটোচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে গাড়ি চালিয়েছি। সকালে প্রচণ্ড রোদ আবার বিকালে ঝুম বৃষ্টি। কখনো ভ্যাপসা গরম, আবার হাল্কা ঠান্ডা শরীরে লেগে কয়েকদিন থেকে জ্বর-সর্দি নিয়ে ঘুরছি। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করেও কোনো উপকার মিলছে না।

ভেড়ম গ্রামের কৃষক আক্কাস মিয়া বলেন, আমার শরীরে গত তিনদিন ধরে জ্বর, সর্দি মাথা ব্যথা, কাশিসহ পুরো শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওষুধ খেয়ে এখন অনেকটা সুস্থ হলেও আমার ছোট মেয়েটা বর্তমানে জ্বর-সর্দির সঙ্গে লড়ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে এমন রোগ বেশি দেখা যায়। তবে এসবে ভয় না পেয়ে ঘরে বসে মোবাইল ফোনে অথবা হাসপাতালে এসে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়া উচিত।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/কেএম)