গাইবান্ধায় দোকানের ছাদ ধসে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৫৩

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাইবান্ধা জেলা শহরে ফোর লেন সড়ক তৈরির জন্য সড়কের দু-পাশের স্থাপনা ভাঙার সময় পাকা দোকানঘরের বিম ও ছাদ ধসে শ্রমিক আজাদ মিয়া ও আব্দুল ওয়াহেদ আলী নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে ডিবি রোডের জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের বিপরীত পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আজাদ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের খামার বোয়ালী গ্রামে ও আব্দুল ওয়াহেদ আলীর বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিদা নগর গ্রামে। তিনি গাইবান্ধা বিসিক শিল্প নগরীতে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস এবং গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শহরের বড় মসজিদ থেকে এসপি অফিসের সামনে পর্যন্ত ফোর লেন সড়ক তৈরি করা হবে। এজন্য এই সড়কের দুই পাশে অধিগ্রহন করা জায়গা থেকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে কয়েকবার নির্দেশ দেয় গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। সে অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যবসায়ী নিজ দায়িত্বে শ্রমিক দিয়ে সড়কের পাশের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছিলেন। এরই এক পর্যায়ে সকাল থেকে শ্রমিকরা এক ব্যবসায়ীর পাকা দোকানঘর ভাঙার কাজ করছিলেন। পরে দুপুর ১টার দিকে সেই দোকানের বিম ভেঙে দেয়াল ও ছাদ ধসে আজাদ মিয়া বিমের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল ওয়াহেদ আলী নামে এক ব্যক্তি মারাত্মক জখম হন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনার খবর পেয়ে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।

এদিকে সড়কের দুই পাশের এসব ভবন ও স্থাপনা ভেঙে ফেলার সময় কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। ফলে ভবন বা স্থাপনা ভেঙে ফেলার সময় আবারও দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, দোকানঘর ভাঙার সময় দুর্ঘটনাবশত এই ঘটনা ঘটে। আজাদ মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থাপনা ভাঙার সময় কোন নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না বলেই এই প্রাণহানি ঘটেছে।

দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, নিহত দুজনের পরিবার চাচ্ছে না লাশের ময়নাতদন্ত করতে। এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা চাইলে মামলা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এলএ)