বগুড়ায় অবৈধ ওয়ান সিগারেট কোম্পানিতে র‌্যাবের অভিযান

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:০৬

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বগুড়ার ওয়ান সিগারেট কোম্পানিতে অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার ৮৭০ প্যাকেট নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত অবৈধ সিগারেট, নকল ব্যান্ডরোল ও একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় বগুড়া সদর থানাধীন দোগাড়িয়া, নুনগোলা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১২ এই অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কুদ্দুস ও বগুড়ার কাস্টমস ভ্যাট এন্ড এক্সাইস বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. মোমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের খবর পেয়ে ওয়ান সিগারেট কোম্পানির কর্মচারিরা অবৈধ মালামালসহ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে র‌্যাব-১২ পালায়নরত অবস্থায় কোম্পানির ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম, মো. জিহাদ ও মো. জহুরুল ইসলামকে আটক করে। এই সময় কোম্পানি থেকে নয় হাজার ৮০০ প্যাকেট সেনার গোল্ড, ১১ হাজার ৫৪০ প্যাকেট পুরবি, এক হাজার ৫৩০ প্যাকেট ক্যাপিটাল ব্ল্যাক, ৬২ হাজার অবৈধ নকল ব্যান্ডরোল ও একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বগুড়া জেলা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব-১২’র কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার স্বজল কুমার সরকার জানান, "ওয়ান সিগারেট কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে আসছিলো। এই নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে প্রতিবছর সরকারকে প্রচুর টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিলো কোম্পানিটি। এই কারণেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।"

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী কাস্টমস এক্সারসাইজ এ্যান্ড ভ্যাটের যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুন্ড জানান, ওই ঘটনায় ফৌজদারি দন্ডবিধির আওয়াতায় মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সেই হিসেবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ওয়ান সিগারেট কোম্পানির পরিবেশ ছাড়পত্র, ট্রেড ও ফায়ার লাইসেন্স না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিপ্তর।

উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার ভারগন টোব্যাকোতে অভিযান চালায় র‌্যাব-১২’র একটি দল। এই সময় অবৈধ সিগারেট উৎপাদনের অভিযোগে ভারগন টোব্যাকোর ম্যানেজার কাজী রাসেল আজাদ রিপনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এছাড়াও র‌্যাব কারখানা থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার শলাকা অবৈধ সিগারেট, এক লাখ ৯৫ হাজার জাল ট্যাক্স স্ট্যাম্প ও এক লাখ সাত হাজার জাল ব্যান্ডরোল জব্দ করে।

অভিযানে প্রতিষ্টানের মালিক রাইছুল হক ও কাজী রাসেল আজাদ রিপনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/কেএম)