বন্দরে নিয়োগ পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশে আল্টিমেটাম

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:১৫

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান ফটকে বন্দরের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ভুক্তভোগীরা চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ না করায় ও চট্টগ্রাম বিভাগকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। এ মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি না মানলে তারা বন্দর ভবন ঘেরাও করবেন বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ভুক্তভোগীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারিতে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ১০ জন, ওয়েল্ডার কাম গ্যাস-কার্টার পদ একজন, লাইব্রেরিয়ান পদে একজন, ইনল্যান্ড মাস্টার (তৃতীয় শ্রেণি) পদে দুজন, নিম্নমান বহিঃসহকারী পদে ৪১৬ জন, নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর বা সহঃ সময়রক্ষক পদে ১২১ জন, জুনিয়র স্টোরম্যান পদে ২৮ জন, মিটার রিডার পদে দুজন, স্টুয়ার্ড (চিকিৎসা বিভাগ) পদে একজন, স্টুয়ার্ড (বন্দর বিশ্রামাগার) পদে একজন, ডাকরুম সহকারী (চিকিৎসা বিভাগ) পদে একজন, অটো মেকানিক (গ্রেড-২) পদে সাতজন, গজ রিডার পদে তিনজন, ভেকসিনেটর বা টিকাদানকারী পদে একজন, সহকারী ফায়ার ব্রিগেড পরিদর্শক পদে তিনজন, সহকারী খানসামা বা কুক পদে একজন, এসএসআরএস খালাসি পদে পাঁচজন, হেল্পার পদে ১৬ জন এবং ফায়ার ফাইটার পদে ৪৬ জনসহ মোট ৬৬৬ জনকে এই নিয়োগের আহ্বান করা হয়।

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকরি প্রার্থীদের এসব পদে এত বেশি আবেদন জমা পড়েছিল যা যাচাই-বাছাই করতে চট্টগ্রাম বন্দরকে হিমশিম খেতে হয়েছিল। অনেক যাচাই-বাছাই করে প্রায় ২৩ হাজার পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার সুযোগ দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)।

এর আগে সব নিয়োগ পরীক্ষা চট্টগ্রামকেন্দ্রিক হলেও সেইবারই প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামের বাইরে অর্থাৎ ঢাকায় গিয়ে এই পদের পরীক্ষা দিতে হয়েছিল প্রার্থীদের।

এ বিজ্ঞপ্তির লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয় ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর। এতে উত্তীর্ণ হয় ৮৯০ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষাও দিয়েছেন। কিন্তু গত প্রায় তিন বছরে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেয়া হয়নি। নিয়োগ বাণিজ্যের অনৈতিক লেনদেনে বনিবনা না হওয়ায় এখনো পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।

এ প্রসঙ্গে চাকরিপ্রত্যাশী জমির বলেন, তিন বছর ধরে এ নিয়োগ আটকের রাখার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। আমরা চট্টগ্রাম বন্দরকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি। তারা এ সময়ের মধ্যে এ নিয়োগ কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন না করলে আমরা চট্টগ্রামের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে বন্দর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা দেব। এছাড়া আমরা সংবাদ সম্মেলনও করব এবং প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। আমরা সকল চাকরিপ্রার্থী চাই এ নিয়োগে যেন চট্টগ্রাম বিভাগের প্রার্থী, পোষ্য কোটা ও মুক্তিযোদ্ধাকে প্রাধান্য দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :