মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে পোলার্ডের ‘দেড়শ’ পূরণ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগে সদ্য তার নেতৃত্বেই চতুর্থবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। সিপিএলে ‘প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ হয়েই মরুশহরে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দিতে চলে এসেছিলেন কায়রন পোলার্ড। বিগত এক দশক ধরে মুম্বাই ফ্র্যাঞ্চাইজির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এই ক্যারিবিয়ান ইউটিলিটি অল-রাউন্ডার।
সিপিএলের পারফরম্যান্স দেখে চলতি বছর পোলার্ডের থেকে রোহিতের দলেরও প্রত্যাশা গগনচুম্বী। ত্রয়োদশ আইপিএলে মুম্বাইয়ের হয়ে পোলার্ড সেই প্রত্যাশা কতোটা পূরণ করতে পারবেন, সেটা সময় বলবে। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে বুধবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমে নজির গড়লেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগোর এই ক্রিকেটার। প্রথম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ক্রিকেটার হিসেবে ১৫০ ম্যাচ খেলার নজির গড়লেন কায়রন পোলার্ড।
২০১০ দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে (এখন দিল্লি ক্যাপিটালস) ফিরোজ শা কোটলায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেক হয়েছিল পোলার্ডের। এরপর থেকে গত এক দশকে মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ৪টি খেতাব জয়ী দলের সদস্য তিনি। বুধবারের ম্যাচের আগে মুম্বাইয়ের হয়ে ১৪৯ ম্যাচে ১৪৬.৬৪ ব্যাটিং গড়ে পোলার্ডের সংগ্রহে ২,৭৭৩ রান। বল হাতে এই অল-রাউন্ডারের নামের পাশে রয়েছে ৫৬টি উইকেট।
এদিন ম্যাচ শুরুর আগে পোলার্ডের হাতে সাম্মানিক ১৫০ নম্বর লেখা প্রদান করা হয় টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে। পোলার্ডের পর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স জার্সি গায়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার নজির রয়েছে অবশ্যই রোহিত শর্মার দখলে। হিটম্যানের দখলে রয়েছে ১৪৫টি ম্যাচ খেলার নজির। যদিও মুম্বাইয়ে যোগদানের আগে ডেকান চার্জার্সের হয়ে আরও ৪৫ ম্যাচ খেলেছেন রোহিত। সুতরাং, মুম্বাইয়ের জার্সিতে পোলার্ডই প্রথম ১৫০ ম্যাচে খেলার নজির গড়লেন।
পোলার্ডের অনন্য কৃতিত্ব এবং বছরের পর বছর ধরে দলে তার অবদান সম্পর্কে বলতে গিয়ে টসের সময় রোহিত এদিন জানান, ‘পোলার্ডের মতো একজন ক্রিকেটারকে স্কোয়াডে পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। ও আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটার। আশা রাখি বরাবরের মতো ও আজকেও মাঠে নেমে ওর খেলাটা উপভোগ করবে।’
(ঢাকাটাইমস/২৪ সেপ্টেম্বর/এআইএ)