হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ৪০টি মৃতদেহ সংরক্ষণাগার চালু

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একসঙ্গে ৪০টি মৃতদেহ ধারণ সম্পন্ন শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক মৃতদেহ সংরক্ষণাগার (হিমঘর) চালু করেছে।

মৃত দেহের মর্যাদাপূর্ণ ও যথাযথ ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেডক্রস (আইসিআরসি) এর সহযোগিতায় নতুন এই মৃতদেহ সংরক্ষণাগার প্রস্তুত করা হয়েছে।

রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এই মৃতদেহ সংরক্ষণাগারটি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।

রেড ক্রিসেন্ট জানায়, এই হিমঘর একটি ৪০ ফুট রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ কন্টেনার থেকে তৈরি হয়েছে। এখানে লাগানো হয়েছে উন্নত মানের স্টিলের ফ্রেম, যেন তা সর্বোচ্চ ৪০টি মরদেহ ধারণ করতে পারে। ইউনিটটিতে দেহগুলো সার্বক্ষণিক ৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা হবে, যেন বাংলাদেশের আর্দ্র আবহাওয়ায় নষ্ট না হয়।

ফলে প্রত্যেকের সুরক্ষা এবং মর্যাদা নিশ্চিত করে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন থেকে মরদেহ নিরাপদে সংরক্ষণ করতে পারবে। এছাড়া মৃতদেহ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত এই হিমাগারে মৃতদেহ নিরাপদ এবং ধর্মীয় মর্যাদার সাথে সংরক্ষণ করা হবে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এতে করে জরুরি পরিস্থিতিতে মৃতদের দাফনে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর উপর অর্পিত দায়িত্বের চাপও কমে আসবে।

আজ বৃহস্পতিবার হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনে অনুষ্ঠিত মৃতদেহ রাখার স্থান (হিমঘর) এর উদ্বোধন করেন সোসাটির হাফিজ আহমদ মজুমদার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও আইএফআরসির গভার্নিং বোর্ডের সদস্য প্রফেসর ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত। সোসাইটির ট্রেজারার লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, পাবলো পের্চেলসি, আইসিআরসি বাংলাদেশ হেড অফ ডেলিগেশন ও হেনিং ক্রাউসে, আইসিআরসি বাংলাদেশ প্রটেকশন কোঅর্ডিনেটর।

এর আগে সোসাইটি ও ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্যা রেডক্রস (আইসিআরসি) এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন ও আইসিআরসি বাংলাদেশ হেড অব ডেলেগেশন পাবলো পের্চেলসি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার বলেন, ‘এই মৃতদেহ সংরক্ষণাগারটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে একত্রে ৪০টি মৃতদেহ রাখা যাবে। এটি হাসপাতালের নিয়ম মেনে সবাই ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে সবশ্রেণীর মানুষ উপকৃত হবে।’

এই মৃতদেহ সংরক্ষণাগার তৈরিতে সহযোগিতার জন্য আইসিআরসি বাংলাদেশস্থ প্রধানসহ সকলকে ধন্যবাদ তিনি। 

(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/এনআই/ইএস)