মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে ছয় মাস যাবৎ পর্যটক প্রবেশ বন্ধ

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:২৪

মাহবুবুর রহমান রাহেল, ঢাকাটাইমস

দেশের অন্যতম পিকনিক স্পট মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কের প্রধান ফটক থেকে শত শত পর্যটক ফিরে যাচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে গিয়ে কাছাকাছি পৌঁছেও পর্যটন এলাকার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে না পেরে অনেকেই বনবিভাগের কর্মচারি, পর্যটন পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। ক্ষুব্দ পর্যটকদের সঙ্গে ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা।

গত ১৭ মার্চ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য বনবিভাগ এ পর্যটন স্পটটি বন্ধ ঘোষণা করে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবধরনের জনসমাগম রোধে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক।

সরেজমিনে গিয়ে মাধবকুন্ড ইকোপার্কের প্রধান ফটকের সামনে কয়েকশ’ পর্যটককে ভিড় করতে দেখা গেছে। ফটক বন্ধ থাকায় তারা ভিতরে প্রবেশ করতে পারছে না। আগত পর্যটকদের সামাল দিতে বনবিভাগের কর্মচারি ও পর্যটক পুলিশকে হিমশিম ক্ষেতে হচ্ছে। অনেক পর্যটক বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করে ফটক অতিক্রম করার জন্য মারমুখি আচরণ শুরু করায় ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে টাকার বিনিময়ে পর্যটকদের পাহাড়ি পথে জলপ্রপাতে নিয়ে যায়। এক্ষেত্রে নির্জন স্থানে অনেকেই শ্লীলতাহানীর শিকার, টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়েছেন। হবিগঞ্জ থেকে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে কৌশিক পাল, রুবি পাল, অঞ্জনা পাল প্রমুখ প্রধান গেইটে আটকা পড়েন। স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে তারা ভিতরে প্রবেশ করে সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

আগত পর্যটকরা জানান, দেশের সব বিনোদন কেন্দ্র ইতিমধ্যে খুলে দেয়া হয়েছে। মাধবকুন্ড পিকনিক স্পট এখনও বন্ধ রাখার কোনো যুক্তি তারা খুঁজে পাচ্ছেন না।

বনবিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষে গত ১৭ মার্চ মাধকুন্ড ইকোপার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়ে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক খুলে দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছেন। প্রতিদিন ২০০-৩০০ পর্যটক মাধবকুন্ডে ভিড় করছেন। তাদের সামাল দিতে বনবিভাগ ও পর্যটন পুলিশকে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/কেএম)