যেসব কারণে অফলাইনে রাইড শেয়ার করবেন না

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৫৭

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বাসের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়ানো কিংবা পিক আওয়ারে সিএনজি চালকের সঙ্গে দরকষাকষির ঝামেলা থেকে মুক্তি দিয়েছে রাইড শেয়ারিং। এখন যাত্রীরা প্রয়োজন অনুযায়ী সময় ও খরচ বাঁচিয়ে শুধুমাত্র মোবাইলের মাধ্যমেই গাড়ি বা মোটরসাইকেল বুক করতে পারেন যা পৌঁছে যায় দোরগোড়ায়। আর অ্যাপসভিত্তিক সার্ভিস হওয়ায় নিরাপত্তার ব্যাপারেও আপোষ করতে হয় না। কিন্তু এত সুবিধার পরেও অতিরিক্ত লাভের আশায় অনেকেই অফলাইন ট্রিপ নিচ্ছেন যার কারণে যাত্রী ও চালক উভয়েই আছেন নিরাপত্তা ঝুঁকিতে।

যাত্রী ও চালকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাইড শেয়ারিং সেবায় কিছু সেফটি ফিচার আছে যা অফলাইন ট্রিপে নেই। যেমন- এই কোভিড পরিস্থিতিতে চালক ও যাত্রী মাস্ক পরেছেন কি না তা নিশ্চিত করতে ট্রিপ শুরুর আগে বাধ্যতামূলক সেলফি তুলতে হয়। এছাড়া প্রতিটি ট্রিপ শুরুর আগে ও পরে গাড়ি ঠিকমতো জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে কি না সেটি ও পরীক্ষা করা হয়।

এর পাশাপাশি রাইড শেয়ারিং অ্যাপে কিছু ফিচার রয়েছে, যেমন- জিপিএস ট্র্যাকিং, যাত্রী ও চালকদের প্রয়োজনীয় তথ্য, ভিওআইপি কল, ইমার্জেন্সি বাটন যা বিপদের সময় সরাসরি জাতীয় জরুরি সেবার সাথে সংযোগ স্থাপন করে দেয়, সার্বক্ষণিক ডেডিকেটেড ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (আইআরটি), ট্রাস্টেড কন্ট্যাক্টস যার মাধ্যমে যাত্রী ও চালক উভয়েই তাদের পরিচিত ৫ জনের সাথে তাদের ট্রিপ শেয়ার করতে পারেন যাতে তারা নিরাপদ বোধ করেন এবং একই সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনার সময় তাদের অবস্থান জানাতে পারেন।

এছাড়াও, অ্যাপের মাধ্যমে কোন ট্রিপ নেওয়া হলে যাত্রী বা চালকের যাত্রাকালীন সময়ে কোন দুর্ঘটনার ফলে শারীরিক ক্ষতি হলে চিকিৎসার খরচও দেয় রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো।

যাত্রী ও চালকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর তাই চালক ও যাত্রী উভয়েরই উচিত নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক প্রাধান্য দেয়া এবং অফলাইন ট্রিপ পরিহার করা।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এজেড)