গণবিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রীর রোবট আবিষ্কার

রাকিবুল হাসান, গণবিশ্ববিদ্যালয়
 | প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:৪১

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন ছাত্রী তৈরি করেছেন মানব রোবট। এ রোবট হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে- এমন ধারণা উদ্ভাবকদের। রোগীর দেহের তাপমাত্রা মাপা, রোগীর তথ্য ডাক্তারের নিকট পৌঁছে দেওয়া, নার্সের কাজসহ অফিস রিসেপশনিস্টের কার্যক্রম পালনে সক্ষম এ উদ্ভাবন।

এতে ব্লুটুথ প্রযুক্তি থাকায় অনলাইন ও অফলাইন কার্যকলাপে সমান পারদর্শী এটি। এছাড়া হাঁটা-চলা ও কথা বলতেও সক্ষম বিশেষ এই রোবট।

আট মাসে নির্মিত রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে এ্যাভওয়ার (অ্যাডভান্স বাইপিডাল ওয়াকিং হিউমানয়েড রোবট)।

নিজ বিভাগ থেকে দেয়া প্রজেক্টের আওতায় রোবট এ্যাভওয়ার উদ্ভাবক কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলেন দুর্গা প্রামানিক (দলনেতা), মৌসুমি কণা, সুমনা আক্তার ও আফরিন আহমেদ বৃষ্টি।

তারা বিভাগের সহকারী প্রভাষক শেলিয়া রহমান (সুপারভাইজার) ও প্রভাষক রোয়িনা আফরোজ অ্যানি (কো-সুপারভাইজার) অধীনে এই বছরের ২৫ জানুয়ারি রোবট তৈরির কাজ শুরু করেন।

দুর্গা প্রামানিক (দলনেতা) ও মৌসুমি কণা বলেন,

আমাদের বিভাগে পূর্বে নির্মিত রোবট মিরা দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই। মিরা রোবটের পা ছিল না। তাই আমাদের ইচ্ছা ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ রোবট তৈরি করার। শেষমেশ আমরা তা করতে পেরে খুবই আনন্দিত ও আশাবাদী।

মানব রোবট নির্মাণের পেছনের গল্প সম্মন্ধে মৌসুমি কণা বলেন, প্রথম দিকে করোনা তান্ডবে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ি। হার্ডওয়্যার কিনতে অনেক কষ্ট হয়েছিল। গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পারছিলাম না। ইন্টারনেটও প্রচুর ঝামেলা করত। রোবট তৈরির কাজ থেমে গিয়েছিল।

কণা আরও বলেন, বিশেষজ্ঞরা রোবটটি দেখেছেন। আমাদের কাজে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রোবটের কাজ আরও বাকি রয়েছে। কয়েকটি নতুন ফিচার যোগ করতে হবে। এতে সময়ের প্রয়োজন।

দুর্গা ও মৌসুমি বলেন, স্বয়ংসম্পূর্ণ রোবট তৈরির চর্চা শুরু করি আমরা ২০১৯ সালে৷ এ্যাভওয়ার রোবটে হার্ট সেন্সর, সার্ভো মোটর, স্পিকার, ডিসপ্লে ব্যবহার করেছি। রোবটটিতে পা থাকার কারণে প্রচুর সাড়া পেয়েছি। প্রত্যাশা করছি, ভবিষ্যতেও পাব। বাণিজ্যিকভাবে এখনো আমরা আগায়নি। কারণ আমাদের রোবটটি আরও উন্নত করার ইচ্ছে আছে।

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান করম নেওয়াজ। তিনি বলেন, আমাদের বিভাগে শেষ সেমিস্টারের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রজেক্ট দেওয়া হয়। এ প্রজেক্টগুলো থেকে এই ধরনের চমৎকার কাজগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উঠে আসে।

বিভাগের প্রধান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা অসাধারণ কর্মদক্ষতার অধিকারী, যার প্রমাণ এই উদ্ভাবন। এটাকে ডেভেলপ করতে আরও কিছু কাজ চলছে। রোবটটির পেছনে যারা কাজ করেছে, তারা প্রত্যেকেই মেয়ে। মেয়েরা যে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই, এটা তার প্রমাণ।

উল্লেখ্য, সোমবার রোবটটি সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে উন্মুক্ত করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

জবি শিক্ষার্থী মীমের অভিযোগের তদন্ত চলছে: ডিবি প্রধান

স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যে ববি ছাত্রীর আত্মহত্যা

দাবি না মানায় সাত দিনের ক্লাস বর্জন কুবি শিক্ষক সমিতির

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের

নতুন রূপে সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রিয় লাইব্রেরি

জাপানের সুমিতমো করপোরেশন বৃত্তি পেলেন ঢাবির ৪০ শিক্ষার্থী

অবন্তিকার আত্মহত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জবিতে মানববন্ধন 

শাবিপ্রবিতে রমজানে খাবার নিয়ে ‘মিল বিপাকে’ ফজিলাতুন্নেসা হলের শিক্ষার্থীরা

ববিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে পচাবাসি খাবার পরিবেশন, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

জাবির নতুন প্রক্টর হওয়ার দৌড়ে যারা এগিয়ে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :