এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:০০ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কয়েকজন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বেড়াতে গিয়ে ওই গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে এসএমপির শাহপরান থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে ছাত্রাবাসটি থেকে স্বামীসহ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।

শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নগরীর টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার। তিনি জানান, গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। তার স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেটের বাইরে বের হন। এসময় ৬/৭ জন যুবক ওই তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। প্রতিবাদ করলে তার স্বামীকেও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

ধর্ষণের ঘটনার পর অভিযানে নামলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।

গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, এম সাইফুর রহমান, অর্জুন, রাজন আহমদ এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।

তাদের মধ্যে সাইফুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায়, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, অর্জুনের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে, রনির বাড়ি হবিগঞ্জে এবং তারেক সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা।

এমসি কলেজের ১২৮ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের খবর সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর