দেশে বার্ষিক দুধ উৎপাদন ১০৬.৮০ লাখ মেট্রিক টন

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশে বার্ষিক দুধ উৎপাদন হয়েছে ১০৬.৮০ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু দৈনিক দুধের চাহিদা ২৫০ মিলিলিটারের বিপরীতে মানুষ পান করছে ১৭৫.৬৩ মিলিলিটার।

শনিবার ‘মডেল প্রকল্প হিসেবে কিউ ল্যাবের অগ্রযাত্র: চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অধিকার মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের করণীয়’ বিষয়ক এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী বিভাগের সদস্য (সচিব) জাকির হোসেন আকন্দ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল জব্বার সিকদার।

সভারের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এর কনফারেন্স হলে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তফা কামাল প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, বাংলাদেশে বিগত এক দশকে ব্যপক সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে প্রাণিজাত খাদ্যের উৎপাদন ও চাহিদাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ধিত চাহিদার যোগান নিশ্চিত করার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার কারণে দেশে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ড. মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে প্রাণিসম্পদ সেক্টর নীট প্রাণিজ আমিষের বার্ষিক চাহিদার শতকরা ৫৭.৭২ ভাগ যোগান নিশ্চিত করেছে। মাথা পিছু দৈনিক ১২০ গ্রাম মাংসের বার্ষিক চাহিদার বিপরীতে দৈনিক ১২৬.২০ গ্রাম মাংসের যোগান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

মোস্তফা কামাল বলেন, প্রাণিজাত খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ‘মানসম্পন্ন  প্রাণিজাত খাদ্য’ এর বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। ‘মানসম্পন্ন  প্রাণিজাত খাদ্য’ উৎপাদনের জন্য ‘মানসম্পন্ন  প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ’ এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ এবং  প্রাণিজাত খাদ্যের গুনগত গুণগত মান নিশ্চিতের লক্ষে গবেষণগারে পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এ বিষয়টি উপলব্ধি করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর  সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে জুলাই ২০১৬ হতে ডিসেম্বর ২০২০ মেয়াদে ১০৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে  ‘প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা জেলার সাভারে আন্তর্জাতিক মানের একটি ‘মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার’ যথাসময়ে স্থাপন করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/জেআর/জেবি)