জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিবস পালন

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:৫০

আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন, পোর্ট লুইস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ঐতিহাসিক বাংলায় ভাষণ প্রদানের ৪৬তম বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে। দিনটি উপলক্ষে মরিশাসের তরুণদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ক্রিসটিন ইউমোটনি এবং ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ)-এর সেক্রেটারি জেনারেল ড. নোমভুয়ো নন্টসিকেলেলো নকওয়ে । সভায় সভাপতিত্ব করেন হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ।

হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে প্রথমেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তিতে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তিনি উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালেই তার ভাষণে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পররাষ্ট্র নীতি, দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের সাথে সম্পর্ক ও বিশ্বের সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের রূপরেখা বর্ণনা করেন। দুঃখজনকভাবে তিনি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ পাননি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা কেন বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি- কারণ তরুণ প্রজন্মই সামনের পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ জন্য তাদের সামনে বঙ্গবন্ধুর মত নেতাদের দৃষ্টান্ত পথ চলার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সাইন্স হতে সদ্য গ্রাজুয়েট মরিশিয়ান নাগরিক তাহিরা জারা বোদো বেরি। তিনি তার উপস্থাপনায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর বাংলা ভাষায় বক্তব্য দেয়ার প্রেক্ষাপট এবং বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় জাতিসংঘের ভূমিকা, বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নসহ সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা তুলে ধরেন।

ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ)-এর সেক্রেটারি জেনারেল ড. নকওয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে দারিদ্র্য বিমোচনের কথা বলেছিলেন, আমরা কিনা এখনও সে বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ক্রিসটিন ইউমোটনি বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের একার নয়, তিনি আমাদের সকলের। তিনি আরো বলেন, আজকে আমরা যে এসডিজি নিয়ে কাজ করছি ৪৬ বছর পূর্বেই বঙ্গবন্ধু তার ভাষণেও এই সমস্ত ক্ষেত্রে উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি আবেগ প্রবণ হয়ে বলেন, ‘আমি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু আমাদের অনুপ্রেরণা, তিনি আমারও পিতা।’

উন্মুক্ত আলোচনায় আলোচকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে তাহিরা জারা বোদো বেরি, ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ)-এর সেক্রেটারি জেনারেল ড. নোমভুয়ো নন্টসিকেলেলো নকওয়ে এবং ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ক্রিসটিন ইউমোটনি’র হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে মুজিববর্ষের লোগো সম্বলিত কোটপিন এবং কলম স্মৃতি স্মারক প্রদান করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

প্রবাসের খবর এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :