খাবারে ঘুমের ওষুধ, একই পরিবারের ৫ জন অসুস্থ

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৪৮ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২০, ০০:১৫

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ধর্ষণের উদ্দেশ্যে মা ও মেয়েসহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার অভিযোগে পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনকে (৪০) রবিবার আটক করেছে পুলিশ। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর ওয়াডেল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পরে জসিম হাওলাদার উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরওয়াডেল গ্রামের এক জেলে পরিবারের বসতঘরে ঢুকে। এ সময় ঘরে থাকা চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে(১৩) জসিমকে ঘরে ঢোকার কারণ জিজ্ঞেস করে। জসিম তখন ওই মেয়েটিকে বলে, ‘কী রান্না করেছো তোমরা দেখতে এসেছি’। এই বলে রান্না করার খাবারগুলো জসিম দেখেন এবং একটু পর ঘর থেকে বের হয়ে যান।

রাত ৮টার দিকে পরিবারের সবাই খাবার খেয়ে কিছু সময় পর একে একে অচেতন হয়ে পড়ে। সকালে পরিবারের লোকজনের কোনো সাড়া না পেয়ে স্থানীয় লোকজন জেলে পরিবারের ঘরে ঢুকে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় দেখে।

এসময় অসুস্থ অবস্থায় ৪র্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে তাদেরকে জানায়, জসিম হাওলাদার ঘরে এসেছিল। তিনি হয়তো খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে দিয়েছেন। এরপর স্থানীয় লোকজন জসিম হাওলাদারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি রান্না করা খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেন।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী পরিবারের গৃহকর্তা জেলে নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে যান। রবিবার সকালে স্থানীয়দের কাছে ঘটনা শুনে বাড়ি ফেরেন।

চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, আটক জসিম হাওলাদার ধর্ষণের উদ্দেশ্যে খাবারের সঙ্গে  ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা তাদের কাছে স্বীকার করেছেন।

খবর পেয়ে বাউফল থানার এসআই সাইদুর রহমান হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জসিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুপুরে ওই জেলের স্ত্রী ও বড় মেয়ে ও ছোট ছেলের জ্ঞান ফিরলেও বিকাল পর্যন্ত অন্য দুজনের জ্ঞান ফিরেনি।

চিকিৎক জানিয়েছেন, তারা সবাই শারীরিকভাবে অসুস্থ। সুস্থ হতে কয়েকদিন সময় লাগবে।

চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লা বলেন, ‘আটক জসিম হাওলাদার একজন লম্পট চরিত্রের লোক। এর আগেও তিনি এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছেন।’

আটক জসিম হাওলাদার খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের উদ্দেশ্য খাবারের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ। তারা সুস্থ হওয়ার পরে বক্তব্য শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’  

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/কেএম)