সিংড়ার দেড় কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা, চরম জনদুর্ভোগ

সাইফুল ইসলাম, নাটোর প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:২৭

ঠিকাদার ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সিংড়ার রাখালগাছা সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। টেন্ডার প্রক্রিয়ার দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় পথচারী ও অসুস্থ রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কের খানাখন্দে ও ভাঙনে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।

২০১৭ সালে বন্যার পর দমদমা-রাখালগাছা পাকা সড়ক ভেঙে কার্পেটিং উঠে যায়। এতে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এরপর জনস্বার্থে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের প্রস্তাবনা দেয় উপজেলা এলজিইডি অফিস। পরে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩৮ লাখ ৬১ হাজার ৭৯৯ টাকা চুক্তি মূল্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার ২৫০ মিটার পাকা রাস্তা সংস্কার কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএন ট্রেড। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিক মীর্জা খোকন।

শুক্রবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়কটি টেন্ডার প্রক্রিয়ার প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও দেড় কিলোমিটার রাস্তার কোথাও কোনো কার্পেটিং নেই। কার্পের্টিং উঠে ছোট-বড় শত শত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের মাঝ বরাবর পাশাপাশি তিনটি ভাঙনে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিনিয়তই ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভবতী ও মুমূর্ষ রোগীদের আনা-নেয়া করতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীর স্বজনরা।

রাখালগাছা গ্রামের ভ্যানচালক আজাহার আলী বলেন, তেমুক ও তাজপুর বাজার থেকে সিংড়া সদর হাসপাতাল ও স্কুল-কলেজে আসার এটিই একমাত্র রাস্তা। তাছাড়া আত্রাই এলাকার মানুষও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তা ভেঙে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল আলীম বলেন, জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে বিএনপি সরকারের সময় এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এর পর ভোট এলে শুধু প্রতিশ্রুতি মিলে, কিন্তু রাস্তা সংস্কার হয় না। গর্তবতী মহিলাদের এই দেড় কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে যেতে হয়। এই কষ্ট ও দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মীর্জা খোকন বলেন, কাজটি শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু মাটি পাওয়া যাচ্ছে না। সমস্যার কারণে কাজটি শেষ করতে পারিনি। এছাড়াও রাস্তা সংস্কারে টেন্ডারে কিছু সংশোধনীও রয়েছে। তবে আশা করছি দ্রুতই কাজটি আবার শুরু করবো।

তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, রাস্তাটি অনেক আগেই টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারের তালবাহনার কারণে জনগণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী হাসান আলী বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ফলাফল আসেনি। এরপর আর সময় দেয়া হবে না। দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :