নারায়ণগঞ্জে ১৪৪ ধারা, মুফতি জেহাদীর জামিন

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৫৯ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:০০

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার মুফতি আলাউদ্দীন জেহাদীকে জামিন দিয়েছে আদালত। রবিবার নারায়ণগঞ্জের আলেম-ওলামাদের দুই পক্ষ একই স্থানে সমাবেশের ঘোষণা দিলে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। টান টান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে দিনটি পার করেছে নারায়ণগঞ্জবাসী।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার মুফতি আলাউদ্দিন জেহাদীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন নারায়য়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালত। জামিনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন।

এদিন সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহরের মণ্ডলপাড়া থেকে চাষাড়া ও নতুন কোর্টের আশপাশের এলাকায় খণ্ডখণ্ডভাবে হেফাজতে ইসলাম ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকজন অবস্থান নেন।

আগেই জেহাদীর মুক্তি দাবিতে নারায়ণগঞ্জে গণজমায়েতের ডাক দেয় আহলে সুন্নাত। একই স্থানে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে বলেও ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলাম। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। ভোর ৬টা হতে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে জানানো হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেল গেট এলাকাতে সভার আয়োজন করে। এছাড়া আরেকটি পক্ষও সভার ডাক দেয়। এ অবস্থায় পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সিটি করপোরেশন ভবন হতে চাষাঢ়া শহীদ মিনার ও খানপুর ৩০০ শয্যা এলাকা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এখানে কোন প্রকার জটলা, মিছিল মিটিং, সমাবেশ, যে কোন ধরনের অস্ত্র বহন, সন্দেহজনক ঘোরাফেরা নিষিদ্ধ।

এছাড়া ২নং রেলগেট, শহীদ মিনার, গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক মোড় এলাকাতে পৃথকভাবে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা রয়েছে।

এর আগে শনিবার রাতে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওলামা পরিষদ ও হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দসহ আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের নেতাদের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন। বৈঠকে উভয় পক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোন ধরনের জমায়েত ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করা যাবে না। সেই সঙ্গে উস্কানিও চলবে না।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি জামে মসজিদের সামনে ওলামা পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ করবেন জানিয়েছিলেন সংগঠনটির জেলার সভাপতি আবদুল আউয়াল, যিনি একই সঙ্গে হেফাজতের জেলার সভাপতি। মূলত ওলামা পরিষদ, হেফাজতে ইসলাম ও জমিয়তের নারায়ণগঞ্জের কমিটিগুলো একই ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে এনে দেওভোগ মাদ্রাসার খতিব হারুনুর রশীদ বাদী হয়ে মুফতি আলাউদ্দিন জেহাদীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই মামলায় পুলিশ একদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল মুফতি জেহাদীকে।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এলএ)