প্রবাসীদের এনআইডি: ফি নির্ধারণে আইন পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদানের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণের বিষয়টি আইনে আছে কি-না, তা নিয়ে পর্যলোচনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পাশাপাশি ফি নেয়ার নিয়ম না থাকলে আইন পরিবর্তনের বিষয়টি খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ৭১তম কমিশন সভায় এমন সিদ্ধান্ত দেয় ইসি।

সভা শেষে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, প্রবাসীদের এনআইডি কার্ড করার ক্ষেত্রে ফি ধরার একটা অনুরোধ ছিল। তারা বলছে, আমরা ফি দিতে রাজি আছি, তবে সেবাটা ভালোমানের হতে হবে। এটা নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছিল কমিশন সভায়।

সভায় বলা হয়েছে, নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হলে এটা আইনে থাকতে হবে। কমিশন দেখতে বলেছে, আইনে এ ধরনের কিছু বলা আছে কি-না। এনআইডি কার্ডের আইনে এ ধরনের ফি ধরার কোনো বিষয় আছে কি-না। না থাকলে আইন পরিবর্তন করত হবে বা এ ধরনের কী আছে এটার যে কমিটি, তাদের মাধ্যমে ঠিক করতে বলা হয়েছে।

ইসি সচিব আরও বলেন, ফি নির্ধারণের বিষয়টি প্রস্তাব হিসেবে কমিশন সভায় যায়নি। প্রাথমিক আলোচনার বিষয় হিসেবে সভায় উপস্থাপন করা হয়েছিল।

মার্কিন ডলারে ফি নেয়ার পরিকল্পনা

ইসি সূত্র জানায়, প্রবাসীদের স্মার্টজাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) দিতে মার্কিন ডলারে ফি নেয়ার পরিকল্পনা করছে ইসি। ডলারের বিনিময়ে তারা ভোটার হওয়া, জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া, পরিচয়পত্র সংশোধন, ভোটার এলাকা স্থানান্তর করতে পারবেন। এজন্য প্রবাসীদের ২০ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত গুনতে হতে পারে। তবে শিক্ষার্থী ও সাধারণ শ্রমিকরা কম মূল্যে এ সেবা পাবেন।

এর আগে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রি. জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ফরম প্রস্তুত করেছি এবং কমিশন সভায় উপস্থাপন করেছি। বিধিবিধান সংশোধন করার জন্যও প্রস্তাবনা প্রেরণ করেছি। অর্থাৎ এখনো আইনি জটিলতা রয়ে গেছে। আইন সংশোধন হলে তা সমাধান হবে। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান এনআইডির ডিজি।

সাইদুল ইসলাম বলেন, যেসব প্রবাসী পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট দিতে পারছেন না, তাদের বায়োমেট্রিক রেখে দেব। তিনি যতটুকু ডকুমেন্ট দিতে পারবেন, তাও সংরক্ষণ করে রেখে দেব। যে ডকুমেন্টগুলো দিতে পারছেন না, সেগুলো অনলাইনে সাবমিট করলে পরে আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে তার আইডি কার্ড হস্তান্তর যেন করতে পারি -সে ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি।

(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্ববর/জেআর/জেবি)