রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সাবেক সাংসদ ছানুকে চিরবিদায়

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:০৯

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাবেক সাংসদ, জাতীয় পার্টি (জাপা) টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক তালুকদার ছানু (৭৫)।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ভূঞাপুর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান, জাতীয় পার্টি (জাপা), উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পৃথক পৃথক তার মরদেহে পুষ্পঅর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন ও চিরবিদায় জানান। জানাজা শেষে ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান ছাব্বিশায় দাফন করা হয়।

এদিকে, সাবেক এই সাংসদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবলু, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাংসদ ছোট মনির।

জানাযায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসলাম হোসাইন, থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা বাসকোচ-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ্আলম প্রামাণিক, সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনকর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ তার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।

অপরদিকে, পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাবেক এমপি শামছুল হক ছানু গত আগস্টে করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তাকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হলে কিছুটা সুস্থ হয়। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গত রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

প্রসঙ্গত, সাবেক এই সাংসদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক তালুকদার ছানু ১৯৮২ সালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৬ সনে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়াও ফলদা ইউনিয়নের দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/এলএ)