আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের যুদ্ধ অব্যাহত, নিহত ৯৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:১৭ | প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৫২

যুদ্ধ থামার সামান্যতম ইঙ্গিত নেই। রবিবারের পর সোমবার আরও ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার যুদ্ধ। এখনও পর্যন্ত ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১১ জন সাধারণ মানুষ। খবর ডয়চে ভেলের।

বিতর্ক অনেক দিনের। ২০১৬ সালে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান সীমান্তে নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে শেষ বড়সড় সংঘর্ষ হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। রোববার ফের ওই অঞ্চলের দখল নিয়ে দুই দেশ কার্যত যুদ্ধে নেমে পড়েছে। দুই দেশের সেনাই সীমান্তে জড়ো হয়েছে। লাগাতার গোলাগুলি চলছে।

শুধু তাই নয়, এর মধ্যে নাগর্নো-কারাবাখ মুক্তাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারাও রয়েছে। এখনো পর্যন্ত যুদ্ধে তাদেরই সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। যোদ্ধাদের সূত্র জানিয়েছে, শুধুমাত্র সোমবারের লড়াইয়ে তাদের ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার এবং সোমবার মিলিয়ে নিহত হয়েছেন ৮৪ জন।

সাবেক দুই সোভিয়েত রাষ্ট্র আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভিতরের দুইটি অঞ্চল ছিল। সোভিয়েতের পতনের পর এই দুইটি রাষ্ট্র আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু সীমান্তের নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।

আজারবাইজানের অভিযোগ, বোইনি ভাবে ওই অঞ্চলের দখল রেখেছে আর্মেনিয়া। আর্মেনিয়ার বক্তব্য, নাগর্নো-কারাবাখ মুক্তাঞ্চল। বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরই দখলে রয়েছে এলাকা। ২০১৬ সালেও এই নিয়ে কার্যত যুদ্ধ শুরু হয়েছিল দু'টি দেশের মধ্যে। তবে রবিবার থেকে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, তা অতীতের সমস্ত সংঘাতকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান দুইটি দেশেই মার্শাল আইন চালু হয়ছে। অর্থাৎ, যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সেনার বিশেষ আইন বলবৎ হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ অবশ্য এই যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানিয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে। মূলত ফ্রান্স এবং জার্মানির আবেদনের ভিত্তিতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, বন্ধ ঘরে ওই বৈঠক হবে। সকলে শুনতে পারবেন না।

রাশিয়া অবিলম্বে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ বন্ধের আবেদন জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ দুই দেশের প্রতিনিধিকে অস্ত্র ছেড়ে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু আপাতত অস্ত্র ছাড়ার ইঙ্গিত দু'টি দেশই দেয়নি।

অভিযোগ, এই যুদ্ধের পিছনে হাত রয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়ার। সিরিয়া বহু যোদ্ধাকে আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সীমান্তে পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, বিতর্কিত অঞ্চল থেকে আর্মেনিয়াকে সরে যেতে হবে। নইলে তাদের ওপর আরও চাপ তৈরি করা হবে। এই যুদ্ধে আজারবাইজানকে সরাসরি সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক।

ঢাকা টাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :