আশাশুনির আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৩৫ | প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৩৮

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শরবত মোল্লা হত্যা মামলার প্রধান আসামি খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার রাত ১টার দিকে তাকে ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন নিজস্ব ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াছিন আলম চৌধুরী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাড়ে পাঁচ মাস পর ডালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় আনা হচ্ছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল গদাইপুর বিলে মঞ্জুরুল মোল্লার চিংড়ি ঘেরের দুই কর্মচারীকে বেঁধে রেখে মাছ লুটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে ক্ষুব্ধ হন গদাইপুর গ্রামের মোজাহার সরদারের ছেলে শাহনেওয়াজ ডালিম। এরই জের ধরে ডালিমের দু’ ভাই ও তাদের লোকজন ৯ এপ্রিল শবে বরাতের রাতে গদাইপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরবত মোল্লা ও মঞ্জুরুল মোল্লার চিংড়ি ঘেরে লুটপাট চালায়। ১০ এপ্রিল সকালে ওসব মাছ চেয়ারম্যান তার ভাই গদাইপুর মাছের সেটে বিক্রি করতে গেলে শরবত মোল্লার সঙ্গে ঝগড়া বাধে। এ নিয়ে হাতাহাতিও হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান তার ভাই টগরকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রচার করে। এরপর তার পক্ষের লোকজনকে সংগঠিত করে শরবত মোল্লাকে তার বাড়ির পাশের পুরাতন কবরস্থানের পাশে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এসময় শরবতকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তার স্ত্রী শরিফা খাতুন ও প্রতিবেশী আরিফা খাতুন, তুয়ারডাঙার সুবিমল বিশ্বাসসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। ভাঙচুর করা হয় তাদের বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি। শুক্রবার সকালে শরিফা খাতুন ও তার স্বামীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন তাদের দুই ছেলে সবুজ ও শিমুল। ১১ এপ্রিল গভীর রাত একটার দিকে শরবত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় গ্রামের ক্ষুব্ধ মানুষ ডালিম ও তার সহযোগীদের বাড়ি ভাঙচুর করে।

পরে নিহত শরবতের ছেলে সবুজ বাবাকে হত্যার অভিযোগে ১১ এপ্রিল শনিবার রাতেই ডালিমকে প্রধান আসামি করে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। রাতেই পুলিশ চেয়ারম্যানের ভাই জুলফিকার জুলি, আব্দুস সালাম বাচ্চুসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে জুলি ও বাচ্চুকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

এদিকে ডালিম চেয়ারম্যানের ভাই আহসান হাবিব টগরের ওপর হামলা ও বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তার ভাই ওবায়দুল্লাহ ডাবলু থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলা দুটিতে শরবতের ছেলে সবুজ, শিমুল ও কয়েকজন সাক্ষীকে অসামি করা হয়। আসামি করা হয়েছে ডালিমের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে দায়েরকৃত কয়েকটি মামলার বাদীদেরও।

এছাড়াও এক মুক্তিযোদ্ধা নুরুল শেখের স্ত্রী জামেলা বাদী হয়ে তার বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় আরও একটি মামলা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :