প্রতিপক্ষদের প্রতি রাজশাহীর কাটাখালির পৌর মেয়রের চ্যালেঞ্জ

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:৩৯

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

রাজশাহীর কাটাখালি পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি সততা, নিষ্ঠা ও আদর্শের ওপর দাঁড়িয়ে গত ৫ বছর ধরে পৌরবাসীর শতভাগ সেবা নিশ্চিত করে চলেছেন। তবে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পৌর নির্বাচনকে ঘিরে একটি দখলদার পক্ষ জামায়াত-বিএনপির মদদে তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাকে হেনস্থা করতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করছে। এতে পৌরবাসী বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

মঙ্গলবার কাটাখালি পৌর ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি সাংবাদিকদের এসব বলেন।

তিনি বলেন, ‌‘পৌরসভার কিছু মানুষ (জামায়াত-বিএনপি) ছাড়া তার বিরুদ্ধে সেবা নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করলে আগামীতে পৌর নির্বাচন করবেন না। স্থানীয় এক ভূমিদস্যূ ও কতিপয় ব্যক্তি যারা জনগনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে আসছে, তারাই এখন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে তাকে হেয় করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’

মেয়রের দাবি, পৌরসভার সর্বমহলে তিনি সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে কোনোভাবেই যখন মোকাবিলা করা যাচ্ছে না, তখন একটি কুচক্র মহল তার বিরুদ্ধে নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা অপপ্রচার ও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

মেয়র আব্বাস বলেন, ‘পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ছিলো জামায়াতের দখলে। এখন সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও রাজনৈতিক সহবস্থান বিরাজ করছে এ পৌরসভায়।’

তিনি বলেন, ‘পৌরসভার মানুষ অনেক আশা-আকাঙ্খার জায়গা থেকে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর আমি তাদের আকাঙ্খার বাস্তব প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

এই পৌরসভা এখন জামায়াত-শিবির মুক্ত দাবি করে আব্বাস আলী বলেন, ‘ভবিষ্যতে রাজশাহীতে উন্নয়নের মডেল পৌরসভা হিসেবে কাটাখালির নাম নেওয়া হবে।’

করোনাকালে তিনি সর্বাত্মকভাবে পৌরবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে সবার মুখে হাসি ফুটিয়েছেন বলেও জানান।

সম্মেলনে পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন কমিউনিটির লোকজন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ষড়ডন্ত্রকারীদের দারা ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগিরা অংশ নিয়ে জোরালো কণ্ঠে মেয়র আব্বাসকে সমর্থন দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের নানা অপকর্মের দলিল দস্তাবেজসহ জমি দখলের ফিরিস্তি তুলে ধরেন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘স্থানীয় সাবেক এক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস। তিনি এলাকাবাসীর সঙ্গে নানা ধরণের প্রতারণা করে এখন কোনঠাসা। মানুষের জমি দখল থেকে শুরু করে নানা অপকর্মে লিপ্ত সে। সেই কুদ্দুস চেয়ারম্যান এখন জনপ্রিয় মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। জামায়াত-বিএনপির মদদে তিনি মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’

তারা আরও বলেন, ‘আবদুল কুদ্দুসের কাজই হলো শন্তিপ্রিয় এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করা। মানুষের জমি দখল করা।’

যাদের জমি দখল করেছেন, এমন অন্তত ২০ জন ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তারা কুদ্দুসের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বলেও অভিযোগ করেন।

স্থানীয়রা জানান, এক সময় পৌর এলাকায় জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ভয়াল অপকর্মে আতঙ্কে থাকতে হতো তাদের। ছোটখাটো বিষয় রূপ নিত সংঘর্ষে। মারামারি-হট্টগোল ছিলো নিয়মিত ব্যাপার। তবে মেয়র আবাসের নেতৃত্বে এখন এ পৌর এলাকায় ফিরে এসেছে শান্তির সুবাতাশ। নির্বিঘ্নে মানুষ বসবাস করছেন। নতুন প্রজন্ম এখন ভুলে গেছে এখানকার জামায়াত-বিএনপির ত্রাসের রাজস্ব।

সম্মেলনে আরও ছিলেন- পৌরসভার সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারি, ব্যবসায়ী মহল, শিক্ষক ও পৌর এলাকার বিভিন্ন সেক্টরের গন্যমাণ্য ব্যক্তিরা।

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/পিএল)