চুল-দাড়ি ফেলেও শেষ রক্ষা হলো না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:৫৪ | প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:০২

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার দুই নাম্বার আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক। লম্বা দাড়ি, মাথাভর্তি চুলের কারণে তিনি অন্য আসামিদের চেয়ে দেখতে ভিন্ন। দেশজুড়ে আলোচিত মামলার দুই নাম্বার আসামি তারেক নিজেকে আড়াল করার সব চেষ্টাই করেছেন। লম্বা লম্বা দাড়ি কেটে ক্লিন শেভ করেছেন, ফেলে দিয়েছেন মাথার চুলও। এই ছদ্মবেশ ধারণ করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়তেই হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারেককে সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

র‌্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার ওবাইন রাখাইন জানান, আলোচিত এই মামলার দুই নম্বর আসামি তারেককে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সিলেট নিয়ে আসা হচ্ছে।

তারেক সুনামগঞ্জ পৌরশহরের উমেদনগর নিসর্গ ৫৭ নম্বর বাসার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগকর্মী।

শুক্রবার রাতে স্বামীর সঙ্গে সিলেট নগরীর এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। আসামিরা তাকে এমসি কলেজের মূল ফটক থেকে তুলে হোস্টেলে নিয়ে যায়। পরে সেখানে একটি কক্ষের সামনে স্বামীকে বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে শাহপরাণ থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী। এরপরই ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।

রবিবার ভোরে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে। একই সময় হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে।

রবিবার রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি ও নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সিলেটের ফেঞ্জুগঞ্জের কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয় রাজন আহমেদ ও তার সহযোগী আইনউদ্দিন।

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :