গাইবান্ধায় বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বাঁধ ভেঙে ১৩ গ্রাম প্লাবিত
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধার সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার পলাশবাড়ীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে অন্তত ১৩ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুটি স্থানে প্রায় ৬০ মিটার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক গ্রাম। পানিতে তলিয়ে গেছে রোপা আমন ধান, রবিশস্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা-ঘাট। দুপুর পর্যন্ত অন্তত ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
গ্রামগুলো হলো, কিশোরগাড়ী, তেকানী, চকবালা, কাশিয়াবাড়ী, পশ্চিম মির্জাপুর, প্রজাপাড়া, সগুনা, কেশবপুর, পশ্চিম রামচন্দ্রপুর, হাসানখোর, সুলতানপুর বাড়াইপাড়া, মুংলিশপুর ও জাইতর গ্রাম।
এর আগে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে করতোয়া বাঁধের টোংরারদহ ও সুলতানপুর ঘাট এলাকায় দুটি স্থানে প্রায় ৬০ মিটার বাঁধ ভেঙে যায়।
কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু ঢাকাটাইমসকে জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে দশটার দিকে পানির তীব্র স্রোতের কারণে টোংড়ারদহ ও সুলতানপুর এলাকায় বাঁধটির প্রায় ৬০ মিটার অংশ ভেঙ্গে যায়।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে বিপদসীমার ৮১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
এদিকে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত, শিবপুর, সাপমারা, নাকাই, কাটাবাড়ি, ফুলবাড়ি, হরিরামপুর, মহিমাগঞ্জ, রাখালবুরুজ ও তালুকানুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ডুবে গেছে বিস্মৃ§ৃর্ণ এলাকার ফসলী জমি।
(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/ইএস)