ধর্ষকদের ‘সরাসরি ক্রসফায়ার’ দেয়া দরকার: হানিফ

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২৩:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের ‘বিচারের কাঠগোড়ায় না নিয়ে সরাসরি ক্রসফায়ার দেয়া দরকার’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

মঙ্গলবার সন্ধায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে, ‘আইইবি’র উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

হানিফ বলেন, 'এই ঘটনা চরম দুঃখজনক, চরম নিন্দনীয়। আমার যদি সুযোগ থাকতো আমি এটাই বলতাম এদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় নয়, এরদেরকে সরাসরি ক্রসফায়ার দিয়ে দিতে। যদিও আমরা ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে, নির্বিচারের হত্যার বিরুদ্ধে। তার পরেও আমি বলি এরা পশু এরা কোনো মানুষের কাতারে পড়ে না। যারা এই ধরনের পাশবিক নির্যাতন করে এদেরকে পশুর সঙ্গে তুলনা করা ছাড়া উপায় নাই। এই পশুগুলোকে অহেতুক বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় না করিয়ে এদের ধরে সরাসরি ক্রসফায়ার দেওয়া দরকার।'

এসময় বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, “বিএনপি নেতারা বলছেন, সারা দেশে এখন দুঃসময়, দেশে এখন দুর্নীতি এবং নারী নির্যাতনের মহামারি চলছে। দুর্নীতি বাংলাদেশে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে এ কথা আমি বলব না। দুর্নীতি তো আপনারা হাওয়া ভবন খুলে শুরু করেছিলেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে আপনারা দুর্নীতির দোকান খুলে, অফিস খুলে বসেছিলেন। তারেক রহমানকে কমিশন না দিয়ে সারা বাংলাদেশে কোন কাজ হতো না। আপনারা দুর্নীতিকে সমাজের এবং প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন।'

আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোতেই বিএনপি দুর্নীতিবাজদের পক্ষে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির শিকড় একে একে উপড়ে তুলছেন। আপনারা দুর্নীতির আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন বলে সে সময় বেশি চোখে পড়ে নি। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি বলে আপনারা এখন কথা বলছেন।'

'দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোতে আপনারা বিরোধীতা করতেছেন, তার মানে আপনারা দুর্নীতিকে সমর্থন করছেন। দুর্নীতির পক্ষে দুর্নীতি বাজদের পক্ষে আপনাদের অবস্থান বলেই জনগণ ধরে নেবে।'

বিএনপির সময়কারের সময়ের নারী নির্যাতনের ধারাবাহিকতার রেশ এখনও থেকে গেছে বলে দাবি করে মাহবুব-উল হক হানিফ বলেন, 'সরকারকে দোষারোপ করে কথা বলছেন তাদের বলে দিতে চাই, এই যে ছাত্র সমাজের মধ্যে এই নৈতিকতার অভনতি এটা রাতারিাতি হয় নাই। ২০০১ সারে আপনারা ক্ষমতায় আসার পরে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছিলেন। ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন। নৌকায় ভোট দেওয়া অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মা বোনদের উপর পাশবিক নির্ডযযাতন করেছিলেন। দশ হাজার মানুষ এই সময় বিএনপির ছাত্রদল যুবদলের নেনতা কর্মী দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিল।'

'মনে আছে পূর্ণিমার কথা, মনে আছে ফাহিমার কথা। সেগুলো কথা এখন বিএনপির নেতাদের মনে পড়ছে না। আপনারা দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে এই ভাবে পাশবিক নির্যাতন করেছিলেন আপনাদের কাছে আমরা বিচার চেয়েছিলাম আপনারা সেই সময় বিচার করেন নাই। আপনার সোনার ছেলে, ছাত্র দল যুবদলের সোনার ছেলেরা, সেই সময় আপনার উৎসাহ দিয়েছিলেন, মজা দেখেছিলেন।'

সভায় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি লিডারশীপের কারণে আমার আজ এই মহামারি দূর্যোগের মধ্যেও অনেক উন্নত দেশের চেয়ে অর্থনীতির দিক দিয়ে অনেক সূচক এগিয়ে রয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিন রাত দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই ’৪১ সালের আগেই আমার উন্নত দেশের কাতারে শামিল হবো।'

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদার, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নূরুজ্জামান, প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, প্রকৌশলী এস এম মনজুরুল হক মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. রনক আহসান, প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, প্রকৌশলী আবুল কালাম হাজারী, প্রকৌশলী প্রতীক কুমার ঘোষ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, ঢাকা কেন্দ্রের সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/কারই/ইএস