রিফাত হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষা, আদালতে মিন্নি

বরগুনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৪৬ | প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৪৬
বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে আসেন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে কিছুক্ষণের মধ্যে। ইতিমধ্যে মামলার অন্যতম আসামি ও রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে হাজির হয়েছেন।

বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান সকাল ১০টার পর এই রায় ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন বরগুনার পাবলিক প্রসিকিউটর ভূবন চন্দ্র হালদার।

জামিনে থাকা মিন্নি বুধবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে তার বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে চেপে আদালতে হাজির হন। একই সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হয়েছেন মিন্নির কয়েকজন স্বজনও।

এসময় মিন্নির বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, কিছুক্ষণ পরেই রিফাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন এ মামলায় মিন্নি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে সসম্মানে বেকসুর খালাস পাবে।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায়কে ঘিরে বরগুনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের নিরাপত্তাচৌকি বসানো হয়েছে। আদালতপাড়ায় নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা।

আলোচিত এই মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। মামলার বাকি ১৪ আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার বরগুনার শিশু আদালতে চলমান রয়েছে।

রিফাতের স্ত্রী মিন্নি উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজের নির্দেশে তার আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলামের জিম্মায় আছেন। অপর আট আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন বরগুনা কারাগারে রয়েছেন। তবে চার্জশিটভুক্ত আসামি মো. মুসা মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজ গেটে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসী নয়ন বন্ড ও তার বাহিনী। ওই রাতেই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় রিফাত হত্যার ভিডিও।

পরদিন ২৭ জুন রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে সাক্ষী রেখে নয়নসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরিফ। এ অবস্থায় ২ জুলাই রাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় নয়নবন্ড। এরপরই সমালোচনায় আসেন নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। হত্যাকারী নয়ন বন্ডের সঙ্গে গোপন বিয়ে ও ঘনিষ্ঠতার নানা ছবি ভাইরাল হতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন মিন্নি, সাক্ষী থেকে আসামি হওয়ায় নতুন করে আলোচনার ঝড় ওঠে। ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান মিন্নি। মুসা বন্ড বাদে এজাহারভুক্ত সব আসামির গ্রেপ্তার শেষে এ বছরের ১ জানুয়ারি আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করেন।

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :