জীবনের যেসব মুহূর্তে চুপ থাকা উচিত

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:০৮ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:২৮

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

কথা বলা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, কথা না বলাটা তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি সবসময় অনুকূল নাও থাকতে পারে। তাই কোথায় কথা বলবেন, আর কোথায় নয় তা জানাটা ভীষণ প্রয়োজন। আপনার পরিস্থিতি আপনিই সবচেয়ে ভাল বুঝবেন। 

১) যুক্তি দিয়ে কোনও কিছু বিচার করা ভাল। তবে সব বিষয়েই তর্ক করা ভাল না। কোনও বিষয়ে না জানলে চুপ করে থাকাই শ্রেয়। অযথা তর্ক করতে আপনারই সম্মানহানি হয়।

২) কথায় বলে, অপ্রিয় সত্যির থেকে প্রিয় মিথ্যে অনেক ভাল। তাই যে সত্যি অপ্রিয়, তা প্রিয় মানুষটাকে না বলাই ভাল। আপনার একটু চুপ থাকাতে কারও মুখের হাসিটি তো বজায় থাকল!

৩) যখন বুঝতে পারবেন অলোচনায় আপনার কথা অপ্রয়োজনীয় মনে করা হচ্ছে। আপনার মতামত নেওয়াই হচ্ছে না। তখন যেচে নিজের মত দিতে যাবেন না। বরং চুপ থেকে পুরো পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবেন।

৪) কথা মানুষের ফুরিয়ে যেতেই পারে। জোর করে কথা বলতে হবে এমন তো কেউ মাথার দিব্যি দেয়নি। তাই চুপ করে থাকাটাও মাঝে মাঝে আপনি উপভোগ করতে পারেন।

৫) প্রতিবাদ করা ভাল। তবে পরিস্থিতি বিচার করে। যদি দেখেন কোনও স্থানে আপনাকে অপমানিত হতে হচ্ছে, অথচ আপনার প্রতিবাদ করার মতো পরিস্থিতি নেই। চুপ করে যাবেন। মনে রাখবেন, যুদ্ধে পিছিয়ে আসা মানেই হার নয়। সেটা কৌশল সাজাবার সময়ও হতে পারে।

৬) মন একদম ভাল নেই। সবকিছুতেই যেন বিরক্ত লাগছে। এমন সময় যতটা পারবেন চুপ করে থাকুন। কারণ ভাল কারও সঙ্গেও আপনি অকারণে খারাপ ব্যবহার করে ফেলতে পারেন। আর তার জন্য আপনাকে পরে পস্তাতে হতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/এজেড)