বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় সব আসামি খালাস

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:০৩ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
ছবি: আনন্দবাজারের সৌজন্যে

প্রায় তিন দশক ধরে চলে আসা ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত সকলকেই খালাস দিয়েছে লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। বুধবার লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে সেই মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব জানান, অভিযুক্তদের কারও বিরুদ্ধে উপযুক্ত কোনো প্রমাণ মেলেনি।

প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর জোশী, উমা ভারতীর মতো নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও করসেবকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ছিল।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত নয় বলেও এ দিন মন্তব্য করেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। তিনি জানান, মসজিদ ভাঙায় অভিযুক্তদের কারও কোনো হাত ছিল না। উমন্মত্ত জনতাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। অভিযুক্তরা বরং মসজিদ ভাঙায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযুক্তদের ফাঁসানোর জন্য প্রমাণ বিকৃত করা হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন বিচারক।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ২৬ আসামি। এছাড়া ভারতের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানী, উমা ভারতীসহ ছয় জন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। সিবিআই এর বিশেষ আদালতে রায় পড়ে শোনান বিচারপতি বিরেন্দ্র যাবদ। এই রায় ঘোষণার পরই অবসরে যাবেন তিনি।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে শেষ হয় এই মামলার শুনানি৷ বিশেষ সিবিআই আদালতকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই মামলায় রায় দিতে হবে বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার অভিযোগে মোট ৪৯টি এফআইআর হয়েছিল। প্রথমে ফৈজাবাদে একটি এফআইআর দায়ের করেন এসও প্রিয়বন্দ নাথ শুক্লা এবং অন্য আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন গঙ্গা প্রসাদ তিওয়ারি। বাকি ৪৭টি এফআইআরও পরে বিভিন্ন সময়ে দায়ের করা হয়।

এর আগে ৩১ আগস্ট রায়দানের জন্য শেষ দিন হিসেবে ধার্য করে সর্বোচ্চ আদালত৷ তারপরই বিচারপতি আর এফ নরিম্যান, নবীন সিনহা, ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা এই মামলার রায়দানে আরও ১ মাস সময় দেন৷

ঢাকা টাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/একে